Advertisement
Advertisement

ঘরে বসে বিদ্যুৎচালিত মোটরসাইকেল তৈরি করে তাক লাগালেন দাঁতনের যুবক

সাধারণ বাইকের মতোই জিনিসপত্র নিয়ে যাতায়াত করা যাবে।

A young man from Dantan made an electric motorcycle
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 7, 2020 6:54 pm
  • Updated:May 7, 2020 6:54 pm

অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সাধ ছিল। ইচ্ছে ছিল নতুন কিছু করার। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু স্বপ্ন ছেড়ে দেননি দাঁতনের যুবক বিশ্বব্রত। সকলকে তাক লাগিয়ে সম্প্রতি নতুন এক মোটরসাইকেল আবিষ্কার করলেন তিনি। ঘরে বসেই পাশের বাড়ির ভাইকে নিয়েই বানিয়ে ফেললেন বিদ্যুৎচালিত এই মোটরসাইকেল। পশ্চিম মেদিনীপুরে দাঁতনের রাজনগর গ্রামের বিশ্বব্রত প্রধান উন্নত প্রযুক্তির এক মোটর বাইকের আদলে তৈরি করেছে বিদ্যুৎচালিত মোটরসাইকেলটি। বাড়ির বকুনি খেয়েও ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল, প্রায় চার মাস নিরলস প্রচেষ্টায় বানিয়ে ফেলেছেন এই অত্যাধুনিক বিদ্যুৎ চালিত মোটরসাইকেল। একবার চার ঘণ্টা চার্জ দিলে সর্বোচ্চ দেড়শো কিলোমিটার ছুটবে এটি। সাধারণ বাইকের মতোই লোড ক্যাপাসিটি নিয়ে যাতায়াত করা যাবে।

২০১২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন বিশ্বব্রত। ইন্টারনেট সার্চ করার অভ্যাস ছিল তাঁর। ইন্টারনেট দেখেই তিনি স্থির করেন ইলেকট্রিকচালিত কোন কিছু তৈরি করবেন তিনি। ইচ্ছে ছিল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েই নামকরা কোনও কোম্পানিতে কাজের চেষ্টা করবেন। তবে তা আর হয়ে উঠেনি। হয়ে ওঠেনি ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। তবে এই ইলেকট্রিকে কোন কিছু তৈরির জেদ তাঁর যায়নি। সেই জেদের বশেই বিশ্বব্রত প্রাথমিকভাবে তৈরি করেন বিদ্যুৎচালিত একটি মোটরস‍াইকেল। পরে বেলদা কলেজ থেকে পাশ করেই বাড়িতে বসেই চলতে থাকে তার এই গবেষণা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে মাত্র ২টি ট্রেনের আরজি কেন?,’ রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ অধীর ]

ইচ্ছা ছিল উন্নত মানের মোটরসাইকেল গড়ার। সেই মতো ডিসেম্বর থেকেই একটি একটি করে পার্টস জোগাড় করে লেগে পড়েন গাড়ি তৈরিতে। অন্য গাড়ির সঙ্গে তুলনা করলে বোঝা যায় এই মোটরসাইকেল কতটা উন্নত। বিশ্বব্রতর এই গাড়িতে রয়েছে রিমোট সেন্সিং যা এটির চুরি যাওয়া রোধ করবে। রয়েছে মনোরঞ্জনের জন্য মিউজিক সিস্টেম। এই বিদ্যুৎচালিত বাইকটি সম্পূর্ণ দূষণ প্রতিরোধকারী। এখানে রয়েছে চার্জিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থাও। এর জন্য ব্যবহৃত হয়েছ উন্নতমানের ব্যাটারি। যা দীর্ঘক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে সক্ষম। রয়েছে ব্যাক গিয়ারের ও ব্যবস্থা।

Advertisement

বিশ্বব্রতর অর্থের জোড়ার সম্পূর্ণ নিজের। পাশের বাড়ির ভাই সন্দীপকে নিয়েই গাড়ি তৈরিতে লেগে পড়েন তিনি। ইচ্ছা থাকলেও এত টাকা দিতে কিছুটা বিমুখ ছিলেন বাবা। কিন্তু তাতে ইচ্ছায় ভাঁটা পড়েনি। ভাইয়ের সাহায্যে দিন রাত এক করে গাড়ি তৈরি করেন তিনি। বিশ্বব্রতর এই নতুন বাইক আবিষ্কারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। এখন তাঁর ইচ্ছা বড় কোনও কোম্পানির হাত ধরে খুব অল্প টাকায় তা বাজারজাত করার।

[ আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত প্রতিবেশী, সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকের নমুনা পরীক্ষার দাবিতে সরব স্থানীয়রা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ