বাবুল হক, মালদহ: ফের শুটআউটের ঘটনা ঘটল রাজ্যে। বন্ধুর গুলিতে মৃত্যু হল এক যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগর এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অথবা ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদের কারণেই ওই যুবককে খুনের ছক কষে অভিষুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।
মালদহের বৈষ্ণবনগরের দুইশতবিঘি এলাকার বাসিন্দা বছর চব্বিশের আবদুল রহিম। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মোটরবাইকে ৩ বন্ধুর সঙ্গে কালিয়াচক থেকে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় বাড়ির কিছুটা দূরে জোড়াবাগান এলাকায় আবদুলের পথ আটকায় তাঁরই বন্ধু সহিদুল শেখ ওরফে ছোট পাক্কার। অভিযোগ, আবদুল দাঁড়াতেই তাঁকে লক্ষ্য এলোপাথাড়ি গুলি চালায় সহিদুল। গুলি লাগে আবদুল রহিমের বুকে ও পায়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসতেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত। এরপর স্থানীয়রাই ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
আবদুলের বাবা রইসউদ্দিন মিঞা বলেন, “ওরা বন্ধু ছিল। কাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে ছেলেকে গুলি করেছে সহিদুল। কীভাবে কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না।” ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের তরফে অভিযু্ক্তের বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়ীক কোনও অশান্তি থাকতে পারে দু’জনের মধ্যে। সহিদুল ও আবদুলের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিল তা জানতে ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবার ও বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে তদন্তকারীরা। সেইসঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল বুধবার রাতে, তা জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের জেরা করা হবে বলে জানায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.