প্রতীকী ছবি
ধীমান রায়, কাটোয়া: স্ত্রীকে খুনের পর রাতভর মৃতদেহের পাশেই ঘুম স্বামীর! সকালে উঠে শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানায়, “তোমরা চলে এসো। লক্ষ্মী হার্ট অ্যাটাক করে মারা গিয়েছে।” পাড়াপড়শিদেরও একই কথা বলে অভিযুক্ত। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজন চেপে ধরতেই মূর্তিমান স্বামী নাকি স্বীকার করে নেয়, মদের নেশায় গলায় গামছার ফাঁস সে নিজেই খুন করেছে স্ত্রীকে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির সাক্ষী পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার নৃসিংহপুর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বধূর নাম লক্ষ্মী হেমব্রম ( ২৬)। ভাতার থানার এরুয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নৃসিংহপুর আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা বাবুলাল হেমব্রমের সঙ্গে বছর দশেক আগে বিয়ে হয় মহিলার। দু’জনই জনমজুরি করে সংসার চালাতেন। তাঁদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ছেলেমেয়েরা বাড়িতে ছিল না। ভাতারের পুরুলে গ্রামে বাবুলালের দিদির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সেই সময়ই ঘটে ভয়ংকর কাণ্ড।
মৃত বধূর দিদি গৌরী মুর্মু বলেন, “এদিন সকালে বাবুলাল ফোন করে আমাদের বলে, তোমরা চলে এসো। লক্ষ্মী হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে। এরপর আমরা গিয়ে দেখি দেহ শোয়ানো রয়েছে, গলায় কালশিটে দাগ। তখনই বুঝতে পারি গলা টিপে খুন করা হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবুলাল নিজেই পাড়াপড়শিকেও তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানায়। মৃতার গলায় দাগ দেখেই বাবুলালকে আটকে জেরা করতে থাকে সকলে। তখন চাপে পড়ে বাবুলাল শিকার করে নেয় সেই স্ত্রীকে খুন করেছে। পাড়ার লোকজন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.