ছবি : প্রতীকী
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: পরকীয়ার জড়িয়েছিল স্ত্রী। তার চরম মাশুল দিলেন স্বামী। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া রবীন্দ্রনগর পশ্চিমপাড়া এলাকায়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মৃতের স্ত্রীকে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চুঁচুড়া থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে এসেছে পরিস্থিতি।
মৃতের নাম সুশান্ত মিস্ত্রি (৪০)। চুঁচুড়া থানার রবীন্দ্রনগর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা তিনি। বছর কুড়ি আগে রবীন্দ্রনগর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা স্বাতীর সঙ্গে সুশান্তর বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন সুশান্ত। শ্বশুরবাড়ির কাছেই তাঁর নিজের মিষ্টির দোকান রয়েছে। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির সুশান্ত সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতেন। কোনওদিন কারওর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করত না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সম্প্রতি রবীন্দ্রনগরের একটি ছেলের সঙ্গে সুশান্তর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্ত্রীর এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি সুশান্ত। স্ত্রীর পরকীয়াকে কেন্দ্র করে সুশান্তর সঙ্গে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অশান্তি শুরু হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে এই অশান্তির জেরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা সুশান্তর মাথা ফাটিয়ে দেয়। অপমানে ১৫ ফেব্রুয়ারি বিষ খায় সুশান্ত। ওই ঘটনার একদিন পর যুবককে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। সুশান্তর মৃত্যুর খবর পাড়ায় এসে পৌঁছাতেই ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী মৃতের শ্বশুর বাড়ির সামনে হাজির হয়। অবিলম্বে সুশান্তর স্ত্রী স্বাতীকে তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে এই দাবিতে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্থানীয়রা পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ দেখায়। পরে ব়্যাফ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দিয়ে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের পরিবারের লোকজনেরা অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা শুরু হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.