Advertisement
Advertisement
Abhishek Banerjee

‘নন্দীগ্রামের ভোট বাতিল হবেই’, কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দুকে বিঁধে দাবি অভিষেকের

নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ফলাফল এখনও আদালতে বিচারাধীন।

Abhishek Banerjee challenges to cancel the result of Nandigram Assembly Election where Suvendu Adhiakri won | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 3, 2022 6:14 pm
  • Updated:December 3, 2022 6:26 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন, পরে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে নন্দীগ্রামের সেই নির্বাচন বিচারাধীন। তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফলাফল বেআইনি। গণনার সময় কারচুপি হয়েছে। সেই মামলা এখনও হাই কোর্টে বিচারাধীন। এই পরিপ্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ তুলে শনিবার সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর দাবি, ‘উনি তো RAC বিধায়ক! নন্দীগ্রামের ভোট বাতিল হবেই।’

শনিবার কাঁথির হাইভোল্টেজ সভা থেকে শুভেন্দুর নাম না করে একাধিক আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক। উঠে এসেছে নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটের ফলাফলও। এখানে একুশের ভোটে যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ভোটে জিতে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন শুভেন্দু। তা নিয়ে তিনি বারবারই ফলাও করে বলে থাকেন – ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছি।’ এবার পালটা কটাক্ষ শুনতে হল বিরোধী দলনেতাকেও। এদিন কাঁথির প্রভাত কলেজ মাঠের সভা থেকে অভিষেক বললেন, ”মুখ্যমন্ত্রীকে কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার বলেন, উনি তো RAC বিধায়ক! নিজের বুথে হারেন, ওয়ার্ডে হারেন, বিধানসভায় লোডশেডিং করে ভোটে জিততে হয়। ভারতের এমন এক বিধায়ক, যাঁর জয় নিয়ে মামলা চলছে। আমি বলছি, নন্দীগ্রামের ভোট বাতিল হবেই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘এখানকার সাংসদ সর্বভূক, কয়লা, বালি, মদের বোতল খায়’, অভিষেককে কুকথা শুভেন্দুর]

২০২১ সালের ২ মে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। সকলের নজর ছিল নন্দীগ্রামের মতো স্পর্শকাতর কেন্দ্রের ফলাফলের দিকে। কারণ, সেখান থেকেই এবারের ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণনা শুরুর প্রথমদিকে তিনি এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায়, ১৯০০ ভোটের ব্যবধানে হার হয়েছে  তাঁর। শেষমুহূর্তে জিতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ফলাফলের স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, এই রায় তিনি মাথা পেতে নিলেও, সন্দেহ রয়েছে। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হতে পারে দল। পরে হাই কোর্টে মামলা করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন, আগামী সপ্তাহে জরুরি বৈঠকে মোদি-শাহরা]

এদিকে, তৃণমূল শিবিরে বারবার শুভেন্দু অধিকারীকে ‘লোডশেডিং বিধায়ক’ বলে কটাক্ষ করা হয়। অভিযোগ, ভোট গণনার সময় শুভেন্দুর উসকানিতে লোডশেডিং করানো হয় এবং সেসময়ই কারচুপি হয়। নাহলে তিনি জিততে পারতেন না। এদিন অভিষেকও একই অভিযোগ তুলে খোঁচা দিলেন।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ