দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘‘ভোটের ফলাফলের পর বিরোধীদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে খুঁজতে হবে। এলাকায় বিজেপি ও থাকবে না সিপিএম কংগ্রেস ও থাকবে না। শুধুই থাকবে তৃণমূল৷ এলাকার মানুষ মাথা উঁচু করে ভোট দেবেন তৃণমূলকে৷ ভোট দেবেন উন্নয়নকে৷’’ শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা উপনির্বাচনে দলীয় প্রচারে গিয়ে একথা জানালেন ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
[দক্ষিণ দিনাজপুরে ফের ইফতার পার্টির খাবারে বিষক্রিয়া, অসুস্থ অন্তত ৯০]
এদিন সন্ধ্যায় মহেশতলা বাটা মোড়ে একটি সভা করেন অভিষেক৷ প্রার্থী দুলাল দাসের সমর্থনে ডাকা ওই সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের সরকার যা বলে, তাই করেন৷ এলাকার মানুষ এই কয়েক বছরে যে উন্নয়ন পেয়েছেন তা বিগত ৩৪ বছরে পাননি। এলাকার রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। এলাকায় মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিষ্ট হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। লোডশেডিং ভুলে গিয়েছেন সকলেই৷ আর তাই মহেশতলার প্রার্থী দুলাল দাসকে ভোট দেওয়ার অর্থ হল তৃণমূলকে ভোট দেওয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া।’’ বিরোধীদের আক্রমণ করে এদিন তিনি বলেন, ‘‘ভোটের পর সিপিএমকে এলাকায় খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ বিজেপি একটা সাম্প্রদায়িক দল। ওরা শুধু জয় শ্রী রাম ছাড়া কিছুই বোঝে না। ভোটের পর ওদের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। সারা বছর আমরা মানুষের পাশে থাকি।’’
[বোর্ড গঠন নিয়ে বিবাদ! তৃণমূল নেতা খুনে রণক্ষেত্র ধনেখালি]
তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘৩১ তারিখ যখন গণনা হবে তখন শুধুই জোড়াফুল ছাড়া আর কিছুই দেখা যাবে না ইভিএম মেশিনে। আর গণনার পর আমি এলাকায় আসব সবুজ আবির খেলতে।’’ এদিন বিকালে একটি মিছিলও করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থীর পাড়া মোল্লার গেট এলাকা থেকে মিছিল করে অভিষেক পৌঁছান বাটার মোড় পর্যন্ত। মিছিলে প্রচুর মানুষ পা মেলান সাংসদ ও প্রার্থীর সঙ্গে৷