সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনপ্লাবনের মধ্যে দিয়ে নদিয়া থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় প্রবেশ করল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) তৃণমূলে নবজোয়ার যাত্রা। এদিন নৈহাটিতে যাত্রার শুরুতেই দেখা গেল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের ঐক্যের ছবি। কী নবীন, কী প্রবীণ, অভিষেককে স্বাগত জানাতে গোটা জেলা নেতৃত্ব হাজির ছিলেন নৈহাটিতে। তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও।
এদিন অভিষেককে স্বাগত জানাতে নৈহাটিতে হাজির ছিলেন প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy), দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, আরেক প্রবীণ নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়, বারাকপুরের অর্জুন সিং (Arjun Singh), রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুরা। জেলায় প্রবেশের আগে প্রবীণ শোভনদেব এবং সৌগতদের (Sougata Roy) পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা গেল অভিষেককে। নিন্দুকেরা বলেন, সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূলের অন্দরে প্রবীণ এবং নবীনদের একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। অভিষেকের সঙ্গে প্রবীণ নেতাদের বনিবনা নেই। কিন্তু শনিবার নৈহাটির ছবি ঠিক উলটো কথা বলছে। তৃণমূলে এই ধরনের কোনও দ্বন্দ্বই যে নেই, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: ‘আমার ২০০ কোটির সম্পত্তি তো ইডির কী?’, আম্বানি-আদানির উদাহরণ টানলেন ‘কালীঘাটের কাকু’]
নৈহাটির কাঁপা মোড়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলার পর অভিষেক এদিন চলে যান গাইঘাটার দিকে। গোটা রাস্তাতেই এদিন মানুষের ভিড় এবং উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল চারটে চল্লিশ মিনিট নাগাদ হরিণঘাটা থেকে অভিষেকের কনভয় পৌঁছায় গাইঘাটার হাঁসপুরে৷ তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিত দাস ফুলের স্তবক দিয়ে তাকে স্বাগত জানান৷ এরপর শুরু হয় পদযাত্রা৷ অভিষেক হাসপুর থেকে স্থানীয় জলেশ্বর শিব মন্দির পর্যন্ত হেঁটে আসেন৷ তখনও রাস্তার দুপাশে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়৷ মহিলা ঢাকি তখন ঢাক বাজাচ্ছেন। মহিলারা উলুধ্বনি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছেন৷ জলেশ্বর মোড় থেকে অভিষেক গাড়িতে করে যান গাইঘাটা বাজারে। সেখানে নেমে তিনি রাস্তার পাশে জড়ো হওয়া মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে করতে বেশ কিছুটা পথ হাঁটেন।
[আরও পড়ুন: বাংলার শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রশংসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের, পুরস্কার পাচ্ছে ৩ স্বাস্থ্যকেন্দ্র]
রবিবার অভিষেকের ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার কথা। তার আগে এদিন ঠাকুরনগরে বিতর্কিত পোস্টার পড়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরকে অপমান করেছেন। তাঁকে ধিক্কার। এ বিষয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন ‘শান্তনু ঠাকুর লোকজন লাগিয়ে এই পোস্টার লাগিয়েছে৷ এতে ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্য সম্মান ও নষ্ট করে দিল ৷