সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: অভিযোগ জানানোর মাত্র ১৩ দিনের মধ্যেই সমস্য়া সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু। এবার জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের মানুষের কাছে ‘দেবদূত’ হয়ে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে মানুষজন বাঁধ সংস্কারে আরজি জানিয়েছিলেন। এর মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে সেচমন্ত্রী পরিদর্শন সেরে সংস্কারের আশ্বাস দিলেন।
২৬ মে রোড শো-র সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিনপুর-১ ব্লকের দহিজুড়ির সিরশি এলাকার মানুষ আরজি করেছিলেন। আবেদন করেছিলেন, তাঁদের এলাকার বাঁধের সংস্কারের। তারপরেই সেচ দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক নিজে এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছিলেন। এবার মাপজোকের কাজ শুরু হল। তারপরেই প্ল্যান ও খরচের খসড়া করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘১০০ দিনের কাজের টাকা পেলে বাইরে যেতাম না’, আক্ষেপ বালেশ্বরের দুর্ঘটনাগ্রস্তদের]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দহিজুড়ির সিরশি এলাকায় ২৬ বিঘার জমির উপর বাঁধটি রয়েছে। একসময় এই বাঁধের উপর নির্ভর করে ওই এলাকার কৃষকরা চাষাবাদ করতেন। কিন্তু অভিযোগ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাঁধটি সংস্কার হয়নি। ফলে পুরো বাঁধটি মজে গিয়েছে। মজে সমতল হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ওই সমতল গরু, ছাগল চড়ে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের কাছে স্থানীয়রা এই বাঁধটি সংস্কারের দাবি করেছিলেন। এরপর সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এলাকায় পরিদর্শনে এলে স্থানীয় বাসিন্দার এলাকার আরও একটি প্রায় দেড়শো বিঘার বাঁধ তাঁকে দেখান।
স্থানীয়রা আরজি জানান, বাঁধটি সংস্কার করে চেক ড্যাম করা হোক। যাতে বর্ষার জল ধরে রেখে চাষবাস করা যায়। স্থানীয়দের দাবি, একটা সময় ওই এলাকার ছাব্বিশ মৌজার কৃষকেরা চাষবাস করতেন এই বাঁধের উপর নির্ভর করে। এই বাঁধটিও সংস্কার করার বিষয়ে সেচমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। জানা গিয়েছে, বর্তমানে মজে যাওয়া ওই কড়ার বাঁধের কাছে একটি পুকুর করা হবে। যাতে সাময়িকভাবে মানুষ চাষের কাজে সুবিধা পান। তবে পুজোর পরেই দুটি বাঁধের সংস্কার এবং চেক ড্যাম করবে সেচদপ্তর।
[আরও পড়ুন: রবিবারই বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা! আবহাওয়া বদলের ইঙ্গিত বাকি জেলাগুলিতেও]
এই বিষয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “আপাতত একটি পুকুর কাটা হবে। পুজোর পর দু’টি বাঁধের সংস্কার ও চেক ড্যামের কাজ হবে।” এদিকে সাংসদের কাছে আরজি জানানোর পরেই দ্রুত কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব কর বলেন, “আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার জন্য। “