রাজা দাস, বালুরঘাট: মেয়ের বিয়ে বন্ধ করতে রাজি ছিলেন না বাবা। বারবার তাঁকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কোনওভাবেই তাঁকে রাজি করাতে পারছিল না এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় তারা। অবশেষে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপেই হল সমস্যার সমাধান।
[ তরুণীকে গণধর্ষণ, দুই যুবককে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা আদালতের ]
জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা কুশমন্ডি থানার অন্তর্গত স্থানীয় নাইট হাই স্কুলে পড়ে। দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। আগামী ৩০ জুলাই পার্শ্ববর্তী গ্রাম লক্ষ্মীপুরে বিয়ে ঠিক হয় তার। বিষয়টি জানতে পেরেই বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের আইনি পার্শ্বসেবকরা বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করে। তবে ওই বিয়ে আটকাতে পারেনি তারা। কোনওভাবেই নাবালিকার বাবাকে রাজি করানো যাচ্ছে না দেখে রাতে বিষয়টি কুশমণ্ডি থানা, ব্লক প্রশাসন-সহ বিভিন্ন দপ্তরে মেল করে জানানো হয়। অবশেষে শুক্রবার কুশমণ্ডি থানার পুলিশ, ব্লক প্রশাসন, সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও জেলা আইনি আধিকারিকরা হাজির হন ওই নাবালিকার বাড়ি। বিস্তারিত বোঝানোর পর ওই বিয়ে আটকাতে সক্ষম হন আধিকারিকরা। ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে নাবালিকার বাবার কাছ থেকে মুচলেখা নেওয়া হয়। ওই নাবালিকার উপর বিশেষ নজর রাখছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
[ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটান, বিজেপিকে রুখতে নদিয়া জেলা নেতৃত্বকে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর ]
সংস্থার জেলা কো-অর্ডিনেটর সুরজ দাশ জানান, বিষয়টি নজরে আসতেই প্রথমে তাঁরা যান নাবালিকার বিয়ে রুখতে। কিন্তু তখন কাজে সফল হননি তাঁরা। অবশেষে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সহায়তায় তাঁরা বিয়ে রুখেছেন। তবে সংস্থা ওই নাবালিকার উপর বিশেষভাবে নজর রাখবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত যাতে তার বাবা ফের মেয়ের বিয়ে না দিতে পারে, তা খেয়াল রাখা হবে। পাশাপাশি মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.