আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: ফের প্ল্যাটফর্মে ভুল ঘোষণা। রেল অবরোধ, কেবিনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের চেষ্টা। নিত্যযাত্রীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র সোদপুর স্টেশন। ঘণ্টা তিনেক বাদে অবশেষে অবরোধ উঠল। শিয়ালদহ মেন শাখায় শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। টনক নড়েছে রেলেরও। স্টেশন মাস্টার-সহ সোদপুর স্টেশনে কর্তব্যরত রেলকর্মীদের শোকজ করা হয়েছে। রেলের ঘোষণা, আগামী সোমবার পর্যন্ত শিয়ালদহ মেন শাখায় গ্যালোপিং ট্রেনগুলিও সব স্টেশনেই দাঁড়াবে।
[ফের ভুল ঘোষণায় ধুন্ধুমার সোদপুর স্টেশনে, রেল অবরোধ নিত্যযাত্রীদের]
শিয়ালদহ মে্ন লাইনে বারাকপুর ও ইছাপুর স্টেশনের মাঝে চলছে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিংয়ের কাজ। শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বাতিল শতাধিক লোকাল ট্রেন। শনিবার বাতিল করা হয়েছে ৬৩টি লোকাল ট্রেন। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। প্রতিটি ট্রেনে ভিড় উপচে পড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, যে স্টেশনে পৌঁছেও স্রেফ ভিড়ের জন্য ট্রেনে উঠতে পারেননি অনেকেই। এই যখন পরিস্থিতি, তখনই ফের ভুল ঘোষণা সোদপুরে স্টেশনে! নিত্যযাত্রীদের দাবি, সকাল ১০ নাগাদ সোদপুরে স্টেশনে ঘোষণা করা হয়, শিয়ালদহগামী রানাঘাট লোকাল আসছে। ট্রেন এমনিতেই কম। তাই রানাঘাট লোকাল ধরার জন্য তড়িঘড়ি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে গিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু ট্রেন সোদপুরে দাঁড়ায়নি। কারণ শিয়ালদহগামী ওই রানাঘাট লোকালটি গ্যালোপিং ট্রেন ছিল! আর এতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। সোদপুর স্টেশনে সকাল ১০টা থেকে রেল অবরোধ করেন নিত্যযাত্রীরা। স্টেশন মাস্টারের কেবিনে ভাঙচুর চলে। এমনকী, আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। শেষপর্যন্ত দুপুর একটা নাগাদ অবরোধ ওঠে। কিন্তু, ঘটনা হল, সোদপুর স্টেশনে ভুল ঘোষণা এই প্রথম নয়। মাস খানেক আগে ভুল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটনা ঘটেছিল শিয়ালদহ মেন লাইনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনে।
রেল সূত্রে খবর, শনিবার সোদপুর স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে এডিআরএম। স্টেশন মাস্টার শুধু নন, স্টেশনে কর্তব্যরত সমস্ত রেলকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। রবিবার মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে তাঁদের। কীভাবে ভুল ঘোষণা হল? কেই বা ভুল ঘোষণা করলেন? তা খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে রেল। আর আগামী সোমবার পর্যন্ত শিয়ালদহ মেন লাইনে সব স্টেশনে দাঁড়াবে গ্যালোপিং ট্রেন।
[ ডোমকলে নৌকাডুবিতে এক মহিলা-সহ দুই শিশুর দেহ উদ্ধার]