সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: উন্নত চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে এখন মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সত্তর-আশি পেরিয়েও দিব্যি বেঁচে থাকছেন অনেকেই। কিন্তু, নিরোগ কী আর থাকা যায়? বড় কোনও অসুখ যদি নাও হয়, বয়সকালে প্রেসার-সুগারের সমস্যা থাকেই। কিন্তু, সেসব কিছুই নেই শিলিগুড়ির ভীমসিং রায়ের। তাঁর বয়স কত জানেন? ১০৭। দীর্ঘ জীবনে কোনওদিন হাসপাতালেও ভরতি হতে হয়নি ভীমবাবুকে। অবাক লাগলে কিছু করার নেই। এটাই ঘোরতর বাস্তব।
[ট্রাই সাইকেলে বসেই প্রতিবন্ধীদের জীবনযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করছেন প্রিয় ‘রবীনদা’]
শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ি এলাকায় থাকেন ভীমবাবু। তাঁর বাবাও দীর্ঘায়ু ছিলেন। প্রায় নব্বই বছর বেঁচেছিলেন তিনি। কিন্তু, ছেলে বাবাকে টপকে গিয়েছেন কবেই! পরিবারের লোকেদের দাবি, ভীমসিং রায়ের বয়স ১০৭ বছর। কিন্তু, তাতে কী! বয়স তাঁর জীবনযাপনে কোনও ছাপ ফেলতে পারেনি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, এই বয়সেও প্রতিদিন নিয়ম করে ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠেন ভীমসিং রায়। হালকা ব্যায়াম করার পর পেট ভরেই প্রাতঃরাশ খান। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কোনও বাদ-বিচার নেই। রেওয়াজি খাসির মাংসও বাদ দেন না শতায়ু মানুষটি। বাড়ি কাছে একটি মুদির দোকান চালান ভীমবাবু। সকালে প্রাতঃরাশ সেরেই দোকানে চলে যান তিনি। দুপুর পর্যন্ত চলে বেচা-কেনা। দোকান থেকে ফিরে ভাত, মাছ, তরকারি সহযোগে মধ্যাহ্নভোজ। প্রায় তিরিশ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন স্ত্রী। দুই ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের দিয়ে এখন বেশ সুখেই দিন কাটছে শতবর্ষ পেরনো মানুষটির।
[ইচ্ছাশক্তির জোরে প্রতিবন্ধকতাকে জয়, মায়ের কোলে চেপেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পড়ুয়া]
আসল বয়স ১০৭। কিন্তু, আধার কার্ডে ভীমবাবুর বয়স ৯৯। ভীমসিং রায় জানালেন, ‘মা-ঠাকুমার মুখে শুনেছি, সে বছর বঙ্গভঙ্গ রদ হয়েছিল সে বছরই আমার জন্ম। কিন্তু, স্কুলে ভরতির সময়ে বয়স ভুল বয়স নথিভুক্ত করা হয়েছিল। সেটাই চলে আসছে। চাকরি তো করি না। তাই ও নিয়ে ভেবে কি হবে?’
[অসুস্থ সদ্যোজাতকে পাশে নিয়েই রাত জেগে পরীক্ষার প্রস্তুতি গৃহবধূর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.