Advertisement
Advertisement
Balurghat Hospital

বালুরঘাট হাসপাতালে নার্সিং পড়ুয়াদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা! গ্রেপ্তার অ্যাম্বুল্যান্স চালক

ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে জেলা হাসপাতালে।

Allegations of attempted molestation of nursing students at Balurghat Hospital
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:February 4, 2025 8:02 pm
  • Updated:February 4, 2025 9:24 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নার্সিং পড়ুয়াদের শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পরেও উঁচু পাঁচিল টপকে অভিযুক্ত কীভাবে মহিলা নার্সিং স্কুলে ঢুকল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে জেলা হাসপাতালে।

বালুরঘাট হাসপাতালেই পুরনো এবং নয়া দশতলা সুপার স্পেশালিটি ভবনের মাঝে রয়েছে মহিলাদের নার্সিং স্কুল। ওই স্কুলের মধ্যেই রয়েছে হস্টেল। যার চারিদিক অন্তত ১০ ফুট উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে সেই পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকে হাসপাতালেরই একটি বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালক বিট্টু দাস। এরপরই জানালা খুলে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা নার্সিং ছাত্রীদের শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তবে কম্বলে টান লাগতেই নার্সিং ছাত্রীরা জেগে যান। তাঁদের চিৎকারে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলের একটি সিসি ক্যামেরা ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বালুরঘাট নার্সিং স্কুল কর্তৃপক্ষ এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বালুরঘাট থানায়। এদিন সেখানে তদন্তে পৌঁছয় আইসি-র নেতৃত্বে পুলিশের দল।

Advertisement

ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানান, “খবর পেয়েই পুলিশ নার্সিং স্কুলে যায়। তদন্তে উঠে আসে মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় একজন পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢোকে। অভিযুক্ত ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। একটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে নিয়ে যায়। পুলিশ সেখানকার অন্য সিসি ক্যামেরা দেখে অভিযুক্তকে শণাক্ত করে পাকড়াও করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখনও পর্যন্ত যা উঠে এসেছে তাতে একজন ভেতরে ঢুকেছিল। বাইরে একজন ছিল। এই ঘটনায় দ্বিতীয় জনের ভূমিকা কী ছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ডিএসপি কথায়, “পুরো চত্বরে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুলিশ প্রতিদিন সেগুলো খতিয়ে দেখছে। হাসপাতালে থাকা পুলিশ ক্যাম্পের স্টেনথ বাড়ানো হয়েছে।”

জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকারীক সুদীপ দাস জানান, “কয়েকজন দুষ্কৃতী নার্সিং স্কুলে ঢুকে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। হোস্টেলের জানলায় আওয়াজ করলেও, হোস্টেলের ভেতরে ঢুকতে পারেনি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে জানিয়েছি।” তবে আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের সব মেডিক্যাল হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এলাকায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে। তারপরও অভিযুক্ত চালক কী করে হস্টেলে ঢুকে পড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement