ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে আমডাঙায় হিংসার ঘটনায় রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার সিপিএম নেতা। ধৃতের নাম জাকির বুল্লুক। শনিবার আজমের শরিফ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবারই সেখানকার আদালতে তোলা হবে ধৃতকে। তারপর ট্রানজিট রিমান্ডে দু-একদিনের মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছাবে জাকির।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গত ২৮ আগস্ট রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা এলাকা। শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে প্রাণ হারান দুই তৃণমূল কর্মী ও এক সিপিএম কর্মী। আহত হন কমপক্ষে ১৬ থেকে ১৭ জন। এই হিংসাত্মক ঘটনার তদন্তে নেমে জাকির বুল্লুকের নাম সামনে আসে। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা। বিশেষ সূত্রে খবর আসে, দুষ্কর্ম করে রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছে জাকির। সেখানকার আজমের শরিফে আত্মগোপন করে আছে সে। এই ঘটনার ১৮ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হল সিপিএম নেতা জাকির বুল্লুক।
এদিন সকালেই জাকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ রবিবার সেখানকার আদালতে তোলার পর ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। সোম বা মঙ্গলবার জাকিরকে বারাসত আদালতে তোলা হবে বলে খবর। এদিকে বুল্লুকের গ্রেপ্তারি নিয়ে মুখ কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট সন্ধ্যার কিছু সময় পর থেকেই আমডাঙার একাংশে বোমাবাজি শুরু হয়। এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে চলে বোমাবাজি। অন্ধাকারের মধ্যে গুলিও চলে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আমডাঙার বহিসগাছি ও তারাবেড়িয়া এলাকা। সংঘর্ষে প্রাণ হারান নাসির হালদার, কুদ্দুস গনির নামে দুই তৃণমূল কর্মী। পরে হাসপাতালে মারা যান মুজাফ্ফর আহমেদ। তৃতীয় জন সিপিএম কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। এরপর থেকেই আমডাঙার বাসিন্দাদের বড় একটি অংশ ঘরছাড়া। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বর্তির বিল এলাকা থেকে এই আক্রমণের ছক কষেছিল সিপিএম কর্মী জাকির বুল্লুক। তার নেতৃত্বেই ওইদিন হিংসার ঘটনা ঘটে। তিনজনের প্রাণ যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.