Advertisement
Advertisement

Breaking News

সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য

আমফানে বিধ্বস্ত বাংলা, পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য

রেল-বন্দর ও বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছেও সহযোগিতা চেয়েছে স্বরাষ্ট্রদপ্তর।

Amphan: WB Home department call for Army Support

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:May 23, 2020 5:16 pm
  • Updated:May 23, 2020 5:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আমফানে বিধ্বস্ত বাংলা। দুর্যোগের ৭২ ঘণ্টা পরও সুন্দরবন-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় ধ্বংসের চিহ্ন ছড়িয়ে। কিন্তু দ্রুত বাংলাকে সচল করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। রাজনীতি দূরে রেখে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ডাক দিল রাজ্য। দুর্গতদের উদ্ধারকাজে সেনার সাহায্য চাইল রাজ্য। সেইসঙ্গে লকডাউনের মধ্যে এত বড় দুর্যোগের পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রেল-বন্দর ও বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম-লোকবলের আরজি জানিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তর।

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুর্যোগ মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি জানিয়েছেন, বিপর্যস্ত বাংলার পাশে সর্বদা রয়েছে ভারত সরকার। যেকোনও রকম সহযোগিতা দেবে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাংলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ১০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন রাজ্যের জন্য। কিন্তু বাংলার পুনর্গঠনের জন্য অর্থের সঙ্গে প্রয়োজন প্রচুর লোকবলের। এখনও জলমগ্ন এলাকায় আটকে রয়েছেন দুর্গতরা। তাঁদের উদ্ধারে সেনার সাহায্য চেয়েছে রাজ্য। এই মর্মে টুইট করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তর।

Advertisement

একইসঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তর দুর্যোগের পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রেল-বন্দর ও বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম-লোকবলের আরজি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে বিধ্বস্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে এনডিআরএফ (NDRF) ও এসডিআরএফ (SDRF)। টুইটে স্বরাষ্ট্রদপ্তর জানিয়েছে, পানীয় জল ও নিকাশি ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। যেখানে বিদ্যুতের সংযোগ নেই সেখানে জেনারেটর দিয়ে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের অন্তত ১০০টি দল উপড়ে পড়া গাছ কাটার কাজ করছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন নিগম ও সিইএসসিকে অধিক সংখ্যক কর্মী নিয়োজিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রদপ্তর।

[আরও পড়ুন: পুনর্গঠনেই সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে, কাকদ্বীপের বৈঠক থেকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর]

ছবি: পিন্টু প্রধান

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ