জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: মায়ের জন্যই সংসার ছেড়েছে স্ত্রী। স্রেফ এই সন্দেহেই বৃদ্ধা মাকে খুন করল ছেলে! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকায়। খবর পেয়েই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
জানা গিয়েছে, ধৃত জয়গোপাল বিশ্বাস পেশায় শ্রমিক। ১২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর৷ একটি ছেলে ও মেয়েও রয়েছে। পারিবারিক অশান্তির কারণে বেশ কয়েক বছর বাপের বাড়িতে রয়েছেন জয়গোপালের স্ত্রী। মা ও দুই সন্তানের সঙ্গে বাড়িতেই থাকত অভিযুক্ত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকেই মানসিক সমস্যা দেখা দেয় জয় গোপালের। মাঝে মধ্যেই অস্বাভাবিক আচরণ করত সে। প্রায়ই স্ত্রীকে ফোন করে বাড়ি ফিরে আসতে বলত।এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায়দিনই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ত সে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে হঠাতই তাঁদের বাড়ি থেকে চিতকার শুনতে পান প্রতিবেশী-আত্মীয়রা। তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জয়গোপালের মা সুমিত্রাদেবী। খবর পেয়েই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আউটডোর বিজ্ঞাপন বন্ধে প্রায় দশ লক্ষ পরিবারে ধাক্কা, কর ছাড়ের আকুতি মুখ্যমন্ত্রীকে]
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু বিশ্বাস বলেন, “শব্দ পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি সুমিত্রাদেবীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। ছেলে জয়গোপালকে প্রশ্ন করতেই সে বলে, বউকে বাড়ি জানার জন্য মাকে খুন করেছে৷” স্থানীয় জগবন্ধু বিশ্বাস বলেন, “জয়গোপাল মানসিক রোগী। মাকে মেরে ফেললে স্ত্রী তার সঙ্গে সংসার করবে সেই ভেবেই মাকে খুন করেছে। মাকে খুন করার পর নিজেই সে কথা সকলকে জানিয়েছে।