সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের ভিন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যু। তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি ছাদ থেকে পড়ে মারা গেলেন বজরুল মল্লিক। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বাসিন্দা তিনি। যদিও বজরুদ্দিনের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ পরিবারের লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে। যে দু’জন বন্ধুর সঙ্গে বজরুল মাদুরাইয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
[হাসপাতাল চত্বরে মৃত শিশুকে খুবলে খেল কুকুর, কর্তৃপক্ষর ভূমিকায় প্রশ্ন]
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের বেরুগ্রামে বাড়ি বজরুল মল্লিকের। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, মাস ছয়েক আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে দুই বন্ধুর সঙ্গে মাদুরাই গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, কাজ করেও ঠিকমতো টাকা পাচ্ছিলেন না বজরুল। এমনকী, দাদুর মৃত্যুসংবাদ পেয়েও বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। পরিবারের লোকেদের দাবি, বুধবার সকালে বাবাকে ফোন করে বজরুল জানিয়েছিলেন, তিনি বাড়ি ফিরছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ট্রেনে উঠবেন। কিন্তু, বিকেলেই বাড়ির লোকেরা জানতে পারেন, একটি নির্মীয়মান বাড়ি ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছেন বজরুল মল্লিক। মাদুরাইয়ে যে সংস্থার হয়ে কাজ করতেন ওই যুবক, সেই সংস্থার তরফে বাড়িতে ফোন করে খবর দেওয়া হয়। বজরুলের সঙ্গে আরও দু’জন মাদুরাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছেন। কিন্তু, ঘটনার পর থেকে তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছে না বজরুলের বাড়ির লোকেরা।
পাঁচ ভাইবোন ও বাবা-মা-কে নিয়ে সংসার। আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। তাই বাড়তি রোজগারের আশায় ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন বাড়ির ছোট ছেলে বজরুল। পরিবারই শুধু নয়, বুধবার বিকেলে তাঁর মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া গোটা গ্রামে। মৃতদেহ কীভাবে ফিরিয়ে আনবেন, তা নিয়ে চিন্তায় বাড়ির লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, খণ্ডঘোষ থানা ও স্থানীয় প্রশাসন কোনও সাহায্য করছে না। বজরুলের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে রাজ্য সরকারের উপরও ভরসা করছেন পরিবারের লোকেরা।
ছবি: মুকলেসুর রহমান
[মদ্যপানের প্রতিবাদ, যুবকের শরীরে আগুন ধরাল ২ প্রতিবেশী]