৫ দিন পর ভেসে উঠল মৎস্যজীবীর দেহ। নিজস্ব চিত্র।
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: টর্নেডোর ঘূর্ণিপাকে ডুবেছিল এফবি বাবা গোবিন্দ ট্রলার। বদ্ধ কেবিন থেকে উদ্ধার হয়েছিল আট মৎস্যজীবীর দেহ। নিখোঁজ ছিলেন আরও একজন। বুধবার তাঁর দেহ উদ্ধার হল।
মৃতের নাম পাদুরী দাস। হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকার মাইতির চকের বাসিন্দা। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, এদিন সকালে জম্বুদ্বীপের কাছে চরে একটি দেহ ভাসতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে নামখানা হাসপাতালে পাঠায়। খবর দেওয়া হয় নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবারকে। সেখানে পাদুরি দাসের আত্মীয়রা দেহটি পাদুরীর বলেই শনাক্ত করেন। দেহটি কাকদ্বীপ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে দেহটি তুলে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ট্রলার দুর্ঘটনায় মৃত আট মৎস্যজীবী পরিবারের হাতে দুলক্ষ টাকার চেক তুলে দেয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি বিশাল, মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) সহ অন্যান্যরা।
কাকদ্বীপ ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে টর্নেডোর জেরে জলের ঘূর্ণিপাকে পড়ে এফবি বাবা গোবিন্দ নামে ট্রলারটি উলটে যায়। আশেপাশের ট্রলারগুলির মৎস্যজীবীরা এই ঘটনা দেখতে পান। তাঁরা এসে ৮ জনকে উদ্ধার করে। ৯ মৎস্যজীবী ট্রলারের কেবিন রুমের মধ্যে আটকে ছিলেন। তাঁদের আটজনের জনের আগে উদ্ধার হয়েছিল। এদিন শেষ মৎস্যজীবীর দেহও মিলল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.