Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুর্ঘটনার ৩৮ দিন পর পুরুলিয়ার বাড়িতে ফিরল তরুণ বাঙালি গবেষকের দেহ

অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন শুভজিৎ সেন৷

Antarctic expeditionary team member Suvajit Sen’s mortal remains reach Purulia
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 5, 2018 10:12 am
  • Updated:May 5, 2018 11:37 am

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: এপ্রিলে বাড়ির বড় ছেলের বিয়ে৷ তার ঠিক আগেই এসেছিল দুঃসংবাদ৷ বিপদসঙ্কুল অ্যান্টার্কটিকা অভিযানে গিয়ে প্রাণ হারান তরুণ বাঙালি গবেষক শুভজিৎ সেন৷ দুর্ঘটনায় ৩৮ দিন পর অবশেষে তাঁর মৃতদেহ ফিরল বাড়িতে৷ শুক্রবার সকালে পুরুলিয়া শহরের ভুঁইয়া পাড়ার বাড়িতে শুভজিতের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে পৌঁছায়৷ ছোট ছেলের মৃতদেহ দেখে আর নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি ওই তরুণের বাবা-মা৷ চোখে জল প্রতিবেশীদেরও৷

[রাখা হল না মাকে দেওয়া কথা, কুমেরু অভিযানে মৃত্যু পুরুলিয়ার শুভজিতের]

Advertisement

ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতি, ভূমিকম্প, পরিবেশ নিয়ে আগ্রহ ছিল পুরুলিয়ার সেনবাড়ির ছোট ছেলে শুভজিতের৷ ভূ-তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে গবেষণা করছিলেন৷ ৩৭ তম ‘ইন্ডিয়ান সাইন্টিফিক এক্সপিডিশন টু অ্যান্টার্কটিকা’র  সদস্য ছিলেন বছর চব্বিশের শুভজিৎ৷ গত বছরের অক্টোবরে অন্য অভিযাত্রীদের সঙ্গে বিপদসঙ্কুল কুমেরু অভিযানে গিয়েছিলেন তিনি৷ মাকে কথা দিয়ে গিয়েছিলেন, এপ্রিলে দাদার বিয়ের আগেই বাড়ি ফিরবেন৷ কিন্তু, বিধি বাম! ২৬ মার্চ সকালে বরফের দেশে দুর্ঘটনার প্রাণ হারান শুভজিৎ৷ ২৭ মার্চ সকালে ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান বাড়ির লোকেরা৷ কিন্তু, সুদূর অ্যান্টার্কটিকা থেকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা হবে বাঙালি গবেষকের দেহ?  তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন শুভজিতের বাড়ির লোকেরা৷ দুর্ঘটনার ৩৮ দিন পর বিদেশমন্ত্রকের মধ্যস্থতায় তাঁর মরদেহ ফিরল পুরুলিয়ার বাড়িতে৷

Advertisement

[শুভজিতের দেহ নিয়ে অ্যান্টার্কটিকা থেকে ফিরছে রুশ জাহাজ]

জানা গিয়েছে, গত ১২ এপ্রিল অ্যান্টার্কটিকায় ভারতের বেসক্যাম্প থেকে শুভজিৎ সেনের মরদেহ নিয়ে রওনা হয় রাশিয়ার একটি জাহাজ৷ ২২ এপ্রিল জাহাজটি পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরে৷ কেপটাউন থেকে বিমানে শুক্রবার সন্ধ্যায় শুভজিতের মরদেহ পৌঁছায় দমদম বিমানবন্দরে৷ শুক্রবার ছোট ছেলেকে শেষবার দেখার সুযোগ পেলেন পুরুলিয়া সেনবাড়ির সদস্যরা৷ এদিন সকাল সাতটা নাগাদ শুভজিতের মরদেহ নিয়ে শহরের ভুঁইয়া পাড়ার বাড়িতে পৌঁছন ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যান্টার্কটিক অ্যান্ড ওসেন রিসার্চের সদস্যরা৷ এই সংস্থারটি হয়ে কুমেরু অভিযানে গিয়েছিলেন ওই তরুণ বাঙালি গবেষক৷ ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার এক প্রতিনিধিও৷ শুভজিতকে শেষবার দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেছিলেন প্রতিবেশীরা৷  ছেলের মৃতদেহ সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন শুভজিতের বাবা ও মা৷  জানা গিয়েছে, মৃত্যুর পর শুভজিত সেনের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ঘাড়ের কাছে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন শুভজিৎ সেন৷ সেই আঘাতের কারণে মৃত্যু হয় তাঁর৷

[ভাগাড়ের জীবাণু বাড়াচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতাও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ