ফাইল ছবি
শেখর চন্দ, আসানসোল: প্রায় দু’মাস জেলে থাকার পর হঠাৎই মেডিক্যাল চেকআপের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) নিয়ে যাওয়া হল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় তত্ত্বাবধানে এক সার্জেন ও দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-সহ মোট চারজনের টিম অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষা করেন। জানা গিয়েছে, তাঁর ব্লাড প্রেসার ও সুগার নরমাল। ফিশচুলা সংক্রান্ত সমস্যা বাড়েনি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের ওজন কমেছে প্রায় ১০ কেজি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কেষ্টকে? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে মঙ্গলবার বেলা ১১ টা ২৫ নাগাদ বের করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। হাসপাতালে পৌঁছন ১১ টা বেজে ৩৫ নাগাদ। মেডিক্যাল টেস্ট শেষ হয় ১২ টা ৩৫ নাগাদ। প্রায় দু’মাস পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। প্রশাসনের দাবি রুটিন চেকআপ। কিন্তু দু’মাস পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন, তবে কি মানসিক অবসাদের শিকার অনুব্রত মণ্ডল? সেই কারণেই কি শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে? কারণ, এবছর দুর্গা পুজো ও কালী পুজো জেলেই কাটাতে হয়েছে অনুব্রতকে। পাশাপাশি একদিকে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। অন্যদিকে সায়গল হোসেনকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কয়েকদিন আগে ইডি নিয়ে গেছে দিল্লি। এই নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই কি অসুস্থতা? হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা এখন যা, তাতে চিন্তার কিথু নেই।
উল্লেখ্য, আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার বা জেলে পুজোর সময় ডাক্তার ছিল না। গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের কারা দপ্তরের পক্ষ থেকে আসানসোল সংশোধনাগারের জন্য একজন আংশিক সময়ে চিকিৎসক চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। ২৮ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যেসব চিকিৎসকের বয়স ২৭ বছর থেকে ৬৫ বছর তাঁদের আবেদনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও আবেদনই জমা পড়েনি। ফলে আসানসোল সংশোধনাগার হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই কোন চিকিৎসক নেই। এমনকি একটি ন্যূনতম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালাতে গেলেও যে স্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সিং স্টাফ দরকার তাও নেই। বর্তমানে একজন আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার আছেন যিনি আসানসোল কোর্টের ডিসপেনসারিতে বসেন। তিনিই ঘণ্টা দুয়েকের জন্য জেলে গিয়ে দেখে আসেন যদি কেউ অসুস্থ থাকে। ফলে গত কয়েকদিন অনুব্রতর ঠিকমতো স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.