Advertisement
Advertisement
Anubrata Mandal

Anubrata Mandal: স্ত্রী-মেয়ের আরও জমির হদিশ, ‘বেনামি সম্পত্তি নেই’, সাফাই অনুব্রতর

সিবিআই সূত্রে খবর, গয়েশপুরে অনুব্রতর স্ত্রী ও মেয়ের নামে ২৮টি জমির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

Anubrata Mandal refuses illegal property accumulation allegations । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 20, 2022 9:55 am
  • Updated:August 20, 2022 10:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনু্ব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে সারি সারি গাড়ি, কোটি কোটি টাকার খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। প্রয়াত স্ত্রী এবং মেয়ের নামে একাধিক জমিও অনুব্রত কিনে রেখেছিলেন বলেই খবর। তবে তা সত্ত্বেও অনুব্রতর সাফাই, “আমার কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই। ওরা তদন্ত করে দেখুক।”

শুক্রবার বোলপুরের কালিকাপুরে ৭০ বিঘা জমির উপর তৈরি অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই। ভোলে ব্যোম রাইস মিল থেকে একটি মোটর বাইক-সহ ৬টি গাড়ির খোঁজ পান আধিকারিকরা। প্রায় ৬ ঘণ্টারও বেশি তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে বেশ কিছু নথিপত্রও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই নথিপত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কালিকাপুরে একাধিক এবং গয়েশপুর মৌজায় মোট ২৮টি জমির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। তার মধ্যে ১৫টি জমির মালিক হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের। বাকি ১৩টি জমির মালিক অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা। ওই জমিগুলি ২০১৪-২০১৭ সালের মধ্যে কেনা হয়েছিল। সূত্রের খবর, বীরভূম, পুরুলিয়ার চালকলে লগ্নিও করেছিলেন অনুব্রত। গরু পাচারের টাকাতেই এই জমিগুলি কেনা হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘১০০ বার সিবিআইকে সহযোগিতা করেছি’, ফের স্বমেজাজে অনুব্রত]

রাখিপূর্ণিমার দিন বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মাধ্যমে বীরভূমে গরু পাচার চক্র পরিচালনা করতেন তৃণমূল নেতা। সায়গল হোসেনের ফোনের মাধ্যমে গরু পাচারকারীদের জন্য নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। ইলামবাজারে গরুর হাটের নিয়ন্ত্রক আবদুল লতিফের সঙ্গেও নিয়মিত তাঁর যোগাযোগ ছিল বলেই খবর। যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আবদুল লতিফকে তিনি চেনেন না বলেই দাবি করেন অনুব্রত। তার ফলে গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব সিবিআই। যদিও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ শনিবার সকালে খারিজ করে দেন অনুব্রত। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে কম্যান্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি দাবি করেন, ১০০ বার সিবিআইকে সহযোগিতা করেছেন।

এদিকে, অনুব্রতর ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হচ্ছে শনিবারই। আসানসোলের বিশেষ আদালতে তোলা হবে তাঁকে। কম্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে সঙ্গে নিয়ে আসানসোলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রতকে। ফের সিবিআই নাকি এবার জেল হেফাজত হবে অনুব্রতর, সেদিকে তাকিয়ে সকলে। তবে সূত্রের খবর, একাধিক যুক্তি দেখিয়ে অনুব্রতর জামিনের পক্ষেই সওয়াল করবেন তাঁর আইনজীবীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সোমালিয়ার হোটেলে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা, আল শাবাব জেহাদিদের গুলিতে নিহত অন্তত ৮]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ