Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত আরামবাগ, গুলিতে জখম তৃণমূল নেতা

আদি ও নব্য তৃণমূলের মধ্যে লড়াই, জানাচ্ছেন স্থানীয়রা৷

Arambagh heaten up by the gangwar of TMC goons, one leader wounded by gunshot
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 18, 2018 9:29 pm
  • Updated:August 9, 2021 5:10 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রবিবার রাতে উত্তাল হয়ে উঠল আরামবাগের চন্দ্রবান এলাকা। পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায় যখন গুলির লড়াই শুরু হয়ে যায় দুই গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীদের মধ্যে। এক গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর জখম হন আরামবাগেরই যুব তৃণমূল নেতা শেখ সইদুল ইসলাম৷ তাঁর বাড়ি আরামবাগের হিয়াৎপুর গ্রামে। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে কলকাতার একটি হাসপাতালে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

[পাওনা দু’লক্ষ টাকা আদায় করতে গিয়ে খুন প্রৌঢ়, চাঞ্চল্য বালুরঘাটে]

Advertisement

পুলিশকে দেওয়া বয়ানে আহত যুব তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, পুরশুড়ায় পার্টির কাজ মিটিয়ে মোটরবাইকে চেপে রবিবার বাড়ি ফিরছিলেন তিনি৷ আরামবাগের চন্দ্রবান এলাকায় সাত-আটজন দুষ্কৃতী প্রথমে তাঁর রাস্তা আটকায় এবং পরে তাঁকে উদ্দেশ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়৷ তাদের চারটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও একটি গুলি পায়ে লাগে৷ তিনি বাইক থেকে পড়ে যান। স্থানীয় মানুষজন তাঁকে উদ্ধার করে৷ প্রথমে তাঁকে নিয়ে যায় দক্ষিণ নারায়ণপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে৷ রাতের দিকে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয় কলকাতার হাসপাতালে৷ শেখ সইদুল ইসলামের রেকর্ড করা বয়ান এখনও পুলিশের কাছে রহস্যজনক রয়ে রয়েছে। আসলে একপক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়েছে, নাকি উভয়পক্ষই গুলি চালিয়েছে সেই বিষয়ে পুলিশ মহলেও সংশয় তৈরি হয়েছে। কীভাবে ওই যুব তৃণমূল নেতার পায়ে আঘাত লাগল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

[সিবিআই তদন্তের আরজি, কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার]

এদিকে, আক্রান্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে তৈরি হয়েছে দ্বিমত৷ একদিকে, আক্রান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন আরামবাগ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পলাশ রায়৷ তিনি জানান, পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে, আক্রান্তের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আরামবাগ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বপন নন্দী৷ তাঁর বক্তব্য, আক্রান্ত সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী, তৃণমূলের কেউ নয়। স্থানীয় শীর্ষ নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা কিন্তু স্বীকার করে নিয়েছেন এটা তাঁদের মধ্যের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল৷ তাঁদের বক্তব্য, সামনে পঞ্চায়েত বোর্ডের গঠন। তাই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখলের লড়াইতে ময়দানে নেমেছে আদি তৃণমূল ও যুব বা নব্য তৃণমূল৷ আগামিদিনে এই গোষ্ঠী সংঘর্ষ আরও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা খোদ স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ