Advertisement
Advertisement

Breaking News

গণপিটুনি

ছেলেধরা সন্দেহে জওয়ানকে হেনস্তা, উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পুলিশ

ওই জওয়ান আদতে বিহারের বাসিন্দা। 

Army jawan held hostage on suspicion of child lifting
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 26, 2019 11:58 am
  • Updated:September 26, 2019 11:59 am

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ছেলেধরা সন্দেহে এবার হেনস্তার শিকার সেনা জওয়ান। বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার সাগরভাঙা গ্রামে। খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই জওয়ানকে উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: অকাল বর্ষণে বিভ্রাটে প্রতিমা শিল্পীরা, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ]

ভুলবশতই বুধবার রাতে কোকওভেন থানার সাগরভাঙা গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন সেনা বাহিনীর এক জওয়ান। তাঁকে ইতস্ততভাবে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপরই স্থানীয়রা চেপে ধরেন তাঁকে। প্রশ্ন করতেই রাজস্থানী ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। বিপদ বুঝে পরিচয়পত্র বের করতেই স্থানীয়রা বুঝতে পারেন যে ওই ব্যক্তি জওয়ান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। কিন্তু উত্তেজিত জনতার হাত থেকে জওয়ানকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশ আধিকারিকদের। নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জওয়ানকে নিয়ে থানায় যায় পুলিশ। 

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা মহেশ রায় বলেন, “আমরাও জানি ছেলেধরার গুজবে অনেক নিরীহ মানুষ হিংসার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বাধ্য হয়ে রাত পাহারার কাজে নামতে হয়েছে, তাই পুলিশ যদি একটু এলাকায় টহলদারি বাড়ায়, তাহলে আতঙ্ক অনেকটাই কমবে।” একই দাবি করেন এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও। কোকওভেন থানার এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, গুজবের আতঙ্কেই পুলিশদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ, প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় পুলিশ রাখা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাও কোকওভেন থানা এলাকায় রাতে পুলিশ গাড়ি রাতে টহল দিচ্ছে। তাঁদের কথায় মানুষ সচেতন হলে তবেই এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই জওয়ান আদতে বিহারের বাসিন্দা।  

Advertisement

ছবি: উদয়ন গুহ রায়

[আরও পড়ুন:এমবি রোড ও ফিডার রোডে চলবে না ভারী যান, স্বস্তিতে স্থানীয় বাসিন্দারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ