প্রতীকী ছবি
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার উদ্ধার হয়েছিল নাবালিকার মৃতদেহ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার উত্তর চুনাখালি এলাকার ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন। গতকাল রাতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ধৃতরা ওই এলাকার বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে।
কী কারণে এই খুন? তাই নিয়ে যথেষ্ঠ প্রশ্ন রয়েছে। ত্রিকোণ প্রেমের কোনও বিষয় থাকতে পারে? এই বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিকল্পনা করেই এই খুন। তেমনই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ধৃতদের নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও দীপেন কয়াল। মৃতদেহ উদ্ধারের পর এলাকায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেখানেই এই দুজনের নাম উঠে আসে। তারপরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দুজনকে আজ মঙ্গলবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
চাষের জমিতে ওই নাবালিকার মৃতদেহ মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ হয়েছে কিনা, সেই বিষয়টি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে পরিষ্কার হবে না। এই কথাই পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মৃতদেহ রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। খুনের জায়গা মৃতদেহ উদ্ধারের পরই ঘিরে ফেলে পুলিশ। এলাকাতেও পুলিশি পাহারা বসানো হয়। আজ অকুস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে খবর। ধৃতদের সঙ্গে ওই নাবালিকার কতটা যোগাযোগ ছিল। সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে বেপাত্তা ছিল ওই নাবালিকা। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। সোমবার দুপুরে নাবালিকার বাড়ির অদূরে একটি জলাজমিতে একটি হাত দেখতে পান এক কৃষক। তারপরই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এত দিন হয়ে যাওয়ায় দেহে পচন ধরেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.