চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: ছেলে পাগল। ও যে কাজ করেছে, তা ক্ষমার চোখে দেখা হোক। শচীন-কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ধৃত দেবকুমার মাইতির পরিবারের এখন এটাই আরজি। সরাসরি প্রশাসনের কাছে সেই বক্তব্য পৌঁছে দিতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই আরজি জানিয়েছেন দেবকুমারের মা কনকলতাদেবী এবং দাদা রাজকুমার। একই দাবিতে সরব হয়েছেন মহিষাদলের আনন্দুলিয়া গ্রামের দেবকুমারের প্রতিবেশীরাও।
প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং সাংসদ শচীন তেন্ডুলকরের মেয়ে সারাকে বিয়ের প্রস্তাব জানিয়ে আপাতত পুলিশ লকআপে দেবকুমার। মানসিক ভারসাম্যহীন এই যুবককে ঘিরে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় তাঁর পরিবার। সোমবার আন্দুলিয়া গ্রামের বাড়ির দাওয়ায় বসে মা কনকলতা মাইতি বলেন, “আমরা গ্রামের মানুষ৷ আইন-টাইন অতটা বুঝি না৷ তবে সত্যি কথাটা ঠিকঠাক বলি। ছেলে আমার পাগল হয়ে গিয়েছে। ভুলভাল বকে। এ দীর্ঘদিনের বদভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড়লোকের মেয়ের প্রতি যে আচরণ করেছে তাতে আমরা লজ্জিত। ও তো সজ্ঞানে করেনি। মাথার ঠিক নেই। তবে শচীনসাহেব ক্ষমার চোখে দেখবেন আশাকরি। অনুরোধ করছি, এই কথাটা মিডিয়াবাবুরা একটু ওঁর কাছে পৌঁছে দেবেন।”
ধৃত দেবকুমারের দাদা রাজকুমার মাইতির কথাতেও একই আকুতি পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, “শচীন বিখ্যাত মানুষ। তিনি ভগবান। ভগবান নিশ্চয়ই মায়ের কোল শূন্য করে দিতে পারেন না। ভাই মানসিক ভারসাম্য হরিয়েছে। ডাক্তারি সার্টিফিকেট তার বড় প্রমাণ। এ কেবল আমাদের কথা নয়। সারা গ্রামের মানুষজন তা জানেন। অতএব বিষয়টি নিশ্চয়ই শচীনসাহেব এবং তাঁর পরিবার ক্ষমা করবেন আশাকরি।” দেবকুমারের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাড়ির ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় ভুলবশতই এ কাজটা করেছে। একবার সুযোগ দিয়ে তাকে রেহাই দেওয়া হোক। তবে রেহাই মিলবে কি না সেটা তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপরই নির্ভর করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আপাতত দেবকুমারের মোবাইল এবং ডায়েরি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.