সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ বাংলা নববর্ষ৷ আজ বাঙালির হালখাতা৷ এই বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে রবিবার ছুটির দিনে উৎসবে মাতল কলকাতা থেকে কালনা, পাহাড় থেকে সাগর৷ কিন্তু, চেনা ছকের বাইরে বেরিয়ে এবার একটু অন্যরকম বর্ষবরণে পা মেলাল সীমান্ত শহর বনগাঁ৷
কাঠুয়া-উন্নাও কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন সীমান্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা৷ দেশজুড়ে চলতে থাকা অস্থির পরিস্থিতির প্রতিবাদ ও আসিফাদের মতো লক্ষ নাবালিকার মৃত্যু রুখতে ‘জেগে ওঠা এবং জাগানোই মানব সংস্কৃতি’র ডাকে আজ পথে নামেন শ’খানেক সাংস্কৃতিক কর্মী৷
[নাবালিকাকে গণধর্ষণের জেরে উত্তাল পাটনা, অবরোধ-বিক্ষোভে স্তব্ধ শহর]
এদিন গানে-কবিতা-স্লোগান-নাচ-নাটকের মাধ্যমে কাঠুয়া-উন্নাও কাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়৷ দেশের রাজনীতিতে চলতে থাকা অসহিষ্ণু পরিস্থিতি বিরুদ্ধের মুখ খুলতে ‘এবং অন্য কথা’ নামের একটি স্থানীয় সাহিত্য পত্রিকার তরফে প্রতিবাদের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়৷
পত্রিকার তরফে লিফলেট প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে আজ স্মৃতিহনন, মেধাহনন, পরম্মরাহননের নাটকীয় তৎপরতা চলছে৷ খুন করা হচ্ছে দেশের দর্শন৷ সাহিত্য, কাব্যকলা, চলচ্চিত্র, বিজ্ঞান৷ প্রতিবেশীকে শত্রু বানানোর চেষ্টা চলছে৷ শিশুদের হাতে অস্ত্র ধরানো হচ্ছে৷ জাতপাত-ধর্মের নামে শিশুকে ধর্ষণ করা হচ্ছে৷ দেশজুড়ে দেখা দিয়েছে অশনি সংকেত৷ এই অস্থির পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে প্রতিবাদ ছাড়া আর কীই-বা পথ আছে৷
[অন্য রাজ্যে সরানো হোক আসিফা গণধর্ষণ মামলা, দাবি পরিবারের]
আর এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তির সন্ধান দিতে পারে সচেতনতা৷ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও প্রতিরোধের ভাষায় আগুন ঝড়াতে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়৷ নতুন বছরে এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে যেন আর যুঝতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই আজ প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় বলে পত্রিকার তরফে জানানো হয়েছে৷ তবে, সাহিত্য পত্রিকার তরফে এই কর্মসূচি নেওয়া হলেও প্রতিবাদের নববর্ষ বরণে শামিল হন সীমান্ত অঞ্চলের বুদ্ধিজীবী মহলের একটা বড় অংশ৷
প্রতিবাদের বর্ষবরণের পাশাপাশি, আজ রবিবার সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজে মেতে উঠে গোটা রাজ্য৷ আজ দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া, চিৎপুরের সর্বমঙ্গলা কালীমন্দিরে ছিল লম্বা লাইন৷ ভিড় ছিল টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালীমন্দির, ফিরিঙ্গি কালীমন্দির-সহ বিভিন্ন ধর্মীয় পীঠস্থানে৷ ছিল খাতাপুজো দেওয়া লড়া লাইন৷