প্রতীকী ছবি
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: গ্রামদখলকে কেন্দ্র করে লাভপুর থানা এলাকায় হাথিয়া গ্রামে উত্তেজনা। শুক্রবার রাতে দু’পক্ষের দফায় দফায় অশান্তি। বোমা বাঁধতে গিয়ে অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গ্রামে পুলিশ ঢুকতে পারেনি। দেহ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে খবর।
নকল কয়েন বিক্রি করে বিখ্যাত হাথিয়া গ্রাম। জানা গিয়েছে, গ্রামের দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল অশান্তি রয়েছে। হাতিয়ার বুথ সভাপতি শেখ মইনুদ্দিন ও তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফি বনাম নকল কয়েন বিক্রেতাদের মাথা শেখ মনিরের দ্বন্দ্ব। গত প্রায় মাসছয়েক ধরে ফেরার ছিলেন শেখ মইনুদ্দিন ও তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফি। শুক্রবার সন্ধেয় গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে শেখ মইনুদ্দিন ও তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফি। অভিযোগ, শুরুতেই তাঁদের আটকে দেয় শেখ মনিরের লোকজন। হাথিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়। ফের ৩টের সময় গ্রামে ঢুকতে চেষ্টা করে শেখ মইনুদ্দিন ও তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফি। আবারও আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। এরপর সকাল ৭টায় আবার দলবল নিয়ে গ্রামে ঢুকতে যান শেখ মইনুদ্দিন ও তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফি।
সেই সময় আবার গ্রামেরই ছাতিম পুকুরের পাড়ে বসে বোমা বাঁধছিল মনিরের দলবল। বোমা বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর, ওই বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যান অনেকেই। তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা হলেন স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল খানের ভাগ্নে ও তৃণমূল নেতা শেখ বাদলের ছেলে। বাকিদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলেই খবর। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, বোমা বিস্ফোরণে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর মার্চে এই এলাকায় একটি নকল অস্ত্র কারখানার সন্ধান পায় লাভপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকে। গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে কাটতে ফের শিরোনামে হাথিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.