Advertisement
Advertisement
পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণ

আশঙ্কাই সত্যি,পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই মালদহে লাফিয়ে বাড়ল করোনা সংক্রমণ

আজমের থেকে ফেরা দশ শ্রমিক আক্রান্ত হওয়ায় মালদহে সংখ্যাটা দাঁড়াল ১৩।

Atleast 10 migrant labourers came back fro Ajmer to Malda test Corona positive
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 10, 2020 11:15 am
  • Updated:May 10, 2020 11:16 am

বাবুল হক, মালদহ: আশঙ্কা ছিলই। সময়মত সেটাই বাস্তবায়িত হয়ে গেল। রাজস্থানের আজমের থেকে মালদহে ফেরা দু’শতাধিক শ্রমিকের মধ্যে ১০ জন করোনা পজিটিভ। শনিবার এই রিপোর্ট পাওয়ার পর আতঙ্ক আরও বাড়ল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। বাংলা থেকে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া মালদহের বাসিন্দাদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। ফলে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে সংক্রমণ আরও ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা।

গত ৬ মে, প্রথম দফায় রাজস্থানের আজমের থেকে ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেনে বঙ্গে ফিরেছেন ২৭৯ জন শ্রমিক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্টেশনে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষার পর বাড়ি পাঠানো হয়। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা। বাড়ি ফেরার পরও নিয়ম মেনে সোয়াব টেস্ট করা হয়েছে এই শ্রমিকদের। প্রথমে ৭ জনের COVID-19 রিপোর্ট পজিটিভ ছিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাটা বেড়ে দশে পৌঁছেছে। ফলে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।\

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুধের বদলে সন্তানদের ভাতের ফ্যান! আদিবাসী শিশুদের বেবিফুড দিলেন পুলিশ আধিকারিক]

এমনিতে, ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই মালদহের বাসিন্দা। হিসেব বলছে, লকডাউনের জেরে অন্তত ১১০০০ শ্রমিক আটকে পড়েছেন বিভিন্ন রাজ্যে। তাঁদের সকলকে ধাপে ধাপে ফেরানো হচ্ছে। শনি, রবি, সোম – এই তিনদিনের মধ্যে বিশেষ ট্রেনে ফিরবেন আরও অনেকেই। কেউ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে, কেউ আবার চণ্ডীগড় থেকে। আজ বিকেলের মধ্যেও তাঁদের একটা বড় অংশের মালদহে পৌঁছে যাওয়ার কথা। এই অবস্থায় জেলায় প্রবেশের আগেই কি তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে? এই প্রশ্ন উঠছেই হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনার পর। অনেকেই বলছেন, সংক্রমণ নিয়ে ফিরলে আগে কোয়ারেন্টাইে রেখে চিকিৎসা হোক, তারপর এলাকায় ফেরানো উচিত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষার সবচেয়ে সস্তার কিট বানাল বাংলা, চেয়ে পাঠাল WHO]

মার্চের ২৫ তারিখ প্রথম দফার লকডাউন শুরু হওয়া সময় থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকের দল নিজেদের বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। দূরত্বের কথা না ভেবে হেঁটেই অনেকে বাড়ির পথ ধরেছিলেন। যার জেরে শ্রমিক বিক্ষোভ, বড়সড় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর মতো অনভিপ্রেত ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। তৃতীয় দফা লকডাউনে কেন্দ্র তাঁদের কথা ভেবে বিশেষ ট্রেনে যার যার রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তখনই একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল যে তাঁদের মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে না তো? সে কারণেই তাঁদের রীতিমতো স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে ছাড়া হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না সংক্রমণ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ