Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিএড-এর প্রশ্ন ফাঁস, বাতিল পরীক্ষা

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে বিপাকে বর্ধমানের পড়ুয়ারা৷

 B.Ed exam question paper leak, Burdwan University exam cancelled following
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 29, 2016 10:44 am
  • Updated:December 29, 2016 10:44 am

স্টাফ রিপোর্টার, বর্ধমান: পরীক্ষার বহু আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়ে গিয়েছিল প্রশ্নপত্র৷ ঘটনাচক্রে সেই প্রশ্নপত্র পরীক্ষার ঘণ্টাখানেক আগে এক আমলার হোয়াটসঅ্যাপে আসে৷ তিনি ছুটে যান কাছাকাছি একটি কলেজে৷ প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখেন হুবহু এক৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে৷ তার পরই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ৷ বুধবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড-এর প্রথম সেমিস্টারের চতুর্থপত্রের পরীক্ষা ছিল৷ প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক রাজীব মুখোপাধ্যায় এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন পরীক্ষা বাতিলের কথা৷ ১৩ জানুয়ারি এই পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে দোষীদের খুঁজে বের করতে এফআইআর করা হয়েছে৷

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ-সহ বিভিন্ন্ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএড-এর প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি ছড়িয়ে পড়ে৷ কালনার মহকুমা শাসক নীতিন সিংঘানিয়ার মোবাইলেও এদিন ১১টা নাগাদ প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি আসে৷ সন্দেহ হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সূত্র থেকে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন৷ জানতে পারেন, এদিনই দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা রয়েছে৷ হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া ওই প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখতে তিনি সটান চলে যান কালনার ভবানন্দপুর বিদ্যাসাগর বিএড কলেজে৷ সেখানে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখেন হুবহু এক৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রশ্ন ফাঁসের কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে৷ নীতিনবাবু বলেন, “কলেজে গিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্নপত্র দেখে বুঝে যাই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই৷”

Advertisement

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক ছিল৷ বৈঠকের মাঝেই কালনার মহকুমা শাসকের কাছ থেকে প্রশ্ন ফাঁসের কথা জানতে পারেন উপাচার্য৷ মহকুমা শাসকে সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন উপাচার্য৷ তিনি যোগাযোগ করেন জেলাশাসকের সঙ্গেও৷ বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন৷ জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের নির্দেশে বিকেলে উপাচার্যকে রিপোর্ট পাঠান কালনার মহকুমা শাসক৷ এরপরই উপাচার্যর নির্দেশে এদিনের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়৷ পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই৷ দোষীদের শাস্তিরও দাবি করেছে ছাত্র সংগঠনগুলি৷

Advertisement

শুধু প্রশ্ন ফাঁস নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও বিএড-এর পরীক্ষা নিয়ে বিভ্রাট হয়েছে৷ একটি পরীক্ষায় ১১০টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে আট হাজার পরীক্ষার্থীর কাছে ৪০ নম্বরের প্রশ্নপত্র পৌঁছেছিল৷ যেখানে পরীক্ষার পূর্ণমান ছিল ৭৫৷ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ই-মেল করে বাকি ৩৫ নম্বরের প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়৷ পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তার প্রিণ্টআউট নিয়ে পরীক্ষার্থীদের দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ