Advertisement
Advertisement
বাবুল সুপ্রিয়

‘সুচিত্রা সেনকে আর অপমান করবেন না’, বাবুলের নিশানায় তৃণমূল

ভোট মিটলেও এখনও মহানায়িকার ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ঝুলছে আসানসোলে৷

Babul Supriyo slams TMC for using Suchitra's photo during campaign
Published by: Tanujit Das
  • Posted:June 11, 2019 9:16 pm
  • Updated:June 12, 2019 12:34 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: নির্বাচনী প্রচারে মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ছবি ব্যবহার করায় শাসকদলের সমালোচনায় সরব আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ মঙ্গলবার কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘‘দয়া করে আর সুচিত্রা সেনকে অপমান করবেন না। এবার ওনার ছবি সরিয়ে নিন৷’’

[ আরও পড়ুন: উধাও মানি অর্ডারের টাকা, ২ মাস ধরে পোস্ট অফিসে ঘুরে হয়রান কৃষক]

Advertisement

জানা গিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের নির্বাচনী প্রচারে আসানসোলজুড়ে প্রায় এক লক্ষ পোস্টার ও ফ্লেক্সে মহানায়িকার ছবি ব্যবহার করা হয়। ভোটপর্ব মিটে ফলাফল প্রকাশ হলেও, শহরজুড়ে ঝুলছে সেই পোস্টার ও ফ্লেক্স। মঙ্গলবার এই বিষয়ে মুখ খোলেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শাসকদলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘দয়া করে আর সুচিত্রা সেনকে অপমান করবেন না। চারিদিকে বিশাল বিশাল পোস্টার ও ফ্লেক্সে যে মহানায়িকার ছবি রেখেছেন, এবার অন্তত ওঁনার ছবিগুলি সরিয়ে দিন। মুনমুন সেনের ছবি রেখে দিন৷ আপনাদের যে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন, তা স্মৃতিতে থাকুক। কিন্তু বাংলার মহানায়িকাকে আর অপমান করবেন না৷”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় বিজেপি সমর্থক দম্পতিকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল ]

এদিন আসানসোলের রাধানগর রোড আট নম্বর এলাকায় বিজয় উৎসবে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে সম্বর্ধনা জানান এলাকার মানুষজন। এদিন সভাস্থলেই ছিল রামলীলার আয়োজন। বাবুল সুপ্রিয় বক্তব্য পেশের আগে রামলীলার গান-নাচ পরিবেশন করা হয়। তখন ‘জয় শ্রীরাম’ প্রসঙ্গে তৈরি হওয়া বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন বাবুল সুপ্রিয়৷ বলেন, ‘‘বাংলায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া আওয়াজের নাম ‘জয় শ্রীরাম’। কথায় আছে রামনামকে ভূতে ভয় পায়। বাংলার যারা ভূত অর্থাৎ সেই তৃণমূল নেতৃত্ব রামনামে ভয় পেতে শুরু করেছে।’’ এমনকী, রাজ্যে ৩৫৬ ধারার জারির পক্ষেই এদিন মত দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সন্দেশখালির ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নিয়ে গোটা দেশ, বাইরে থাকা বাঙালিরাও এখন নিন্দা করছেন। বিশ্বের মানুষ বাংলা বলতেই বুঝতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়কে। সেই বাংলা এখন পরিচিত হচ্ছে হিংসার জন্য। একজন মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে তাঁর পার্টিকর্মী ও পুলিশকে হিংসায় উসকানি দিচ্ছেন, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ৩৫৬ ধারা নিয়ে যে চর্চা চলছে, আমি মনে করি বাংলার মানুষও সেই ধারা চাইছেন। সোশ্যাল মিডিয়া দেখুন, বাংলার মানুষ রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষেই মত দিচ্ছেন।’’

প্রসঙ্গত, ভোট প্রচারে মা সুচিত্রা সেনের ছবির ঢালাও ব্যবহার এবারের লোকসভা ভোটে আলাদা করে নজর কেড়েছিল আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। অভিযোগ ওঠে, মহিলা আর প্রবীণদের ভোট পাওয়ার লক্ষ্যেই সুচিত্রার ছবিতে এলাকা ভরেছে শাসকদল। যে বিতর্কের জবাবে তৃণমূলের প্রার্থী মুনমুন সেন বলেছিলেন, “মা তো আমরই। আমি মায়ের ছবি দিতেই পারি। আমি তো অন্য কারও ছবি দিচ্ছি না”। এমনকী, মহানায়িকার আত্মার শান্তি কামনায় ভোট চেয়েও বিতর্কে জড়ান মুনমুন সেন৷ ইতিমধ্যেই ভোটপর্ব মিটেছে৷ কিন্তু এখনও আসানসোলে রয়ে গিয়েছে সুচিত্রা সেনের সেই ছবি ও ফ্লেক্স৷ যা নিয়ে এদিন মুখ খোলেন বাবুল সুপ্রিয়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ