সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২ বছর আগের ভাইরাল ভিডিও। তাও আবার উত্তরপ্রদেশের। সেই ভিডিওর ছবি বাংলার ছবি বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনায় এক যুবককে আটক করল পুলিশ। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের খাগড়া দয়াময়ীতলার বাসিন্দা রাজা সাহা নামে ওই যুবক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উত্তরপ্রদেশের ঘটনা বহরমপুরের বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। আর তাতেই বিপাকে পড়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ-প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে নেমে পেশায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ঠিকাকর্মী রাজাকে আটক করে। প্রথমে তার বাবা গোবিন্দলাল সাহাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখনই রাজার সম্পর্কে জানতে পারে তারা।
[স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, ছুটির দিনেও রোগী দেখছেন রঘুনাথপুরের এসডিও]
কিছুদিন আগে দুটি ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ব্রিজের নিচে মারামারি করছে খাকি উর্দিধারী দুই পুলিশ আধিকারিক। ছবিদুটিকে বেমালুম বহরমপুরের কান্দি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি ব্রিজের নিচের ঘটনা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। লেখা হয়, বখরা নিয়ে রাজ্য পুলিশের দুই কর্মী মারামারি করছে। ছবিটি ভাইরাল হতেই অস্বস্তিতে পড়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশ। পুলিশের কাছে খবর আসতেই তারা নড়চড়ে বসে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের কোনও এক শহরের ঘটনা। সেখানে তোলাবাজির টাকা নিয়ে দুই পুলিশ আধিকারিকের ঝামেলার ভিডিও ইউটিউবে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও থেকেই ছবি পোস্ট করা হয় বলে অভিযোগ।
[শ্রাবণ মাসে পাতাল ফুঁড়ে ‘দেবতার জন্ম’! কুলটিতে চাঞ্চল্য]
সম্প্রতি ভাইরাল ছবিটির সত্যতা যাচাই না করে একইভাবে বহরমপুরের ঘটনা বলে একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে ছাপা হয়। বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। তারপরই তদন্তে জানা যায় অভিযুক্ত রাজা সাহার কীর্তির কথা। ছবিটি ততক্ষণে বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপেও ঘুরতে শুরু করে। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।