রাজা দাস, বালুরঘাট: কাটোয়া শহরকে ব্লু সিটি করার কথা ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এবার গ্রিন সিটি হতে চলেছে বালুরঘাট। ভিত্তির প্রস্থর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে বালুরঘাট শহরকে গ্রিন সিটি হিসেবে গড়তে চলেছে পুরসভা। জেলা প্রশাসনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চারটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ মিলেছে ইতিমধ্যেই। মাস দুয়েকের মধ্যে সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ হবে বলেই দাবী সাংসদ অর্পিতা ঘোষের।
[ ‘ব্লু সিটি’ হয়ে উঠবে কাটোয়া, অরণ্য সপ্তাহে নতুন উদ্যোগ বনদপ্তরের ]
জানা গিয়েছে, গ্রিন সিটির প্রকল্পের আওতায় সাজতে চলেছে বালুরঘাট শহরের সুভাষ কর্নারের সামনের খাড়ি থেকে শুরু করে শহরের অন্যান্য এলাকাও। সৌন্দার্যায়নে জন্য খরচ হবে প্রায় ২ কোটি ৭৩ লক্ষ ১৩ হাজার ২৫৪ টাকা। এছাড়া সবুজ করিডর তৈরিতে খরচ হওয়ার কথা ২ কোটি ৭১ লক্ষ ২৩ হাজার ৯০৫ টাকা। আবার সিসিটিভি ও হাইমাস্ট লাইটের জন্য ২ কোটি ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৯০৭ এবং পৃথকভাবে সৌন্দার্যায়নের জন্য আরও ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সবগুলি কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেও একটি কাজে টেন্ডার চলছে। শহরটিকে গ্রিন সিটি হিসেবে গড়তে সোমবার সন্ধ্যায় ভিত্তির প্রস্তর স্থাপন হয়। সুভাষ কর্নার এলাকার আত্রেয়ী খাড়ির ধারে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন শীল-সহ অন্যান্যরা।
[ সভাস্থলে দুর্ঘটনায় পুলিশের ঘাড়েই দায় বিজেপির, কাঠামোয় গলদ পেল ফরেনসিক দল ]
সাংসদ অর্পিতা ঘোষ বলেন, তিনি বেশ কয়েকমাস আগেই বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রধান সড়কের ধার ও শহরের মাঝে থাকা এই খাড়িতে আবর্জনা ভরতি ছিল। সেগুলি সরিয়ে এলাকাটি সুন্দর করে তোলাই ছিল তাঁদের প্রধান উদ্দেশ্য। পরে এর জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু হবে। শুরুর মাস দুয়েকের মধ্যে তা শেষ করে শহরের সৌন্দার্যায়ন হবে বলেও জানান তিনি।
গত মাসেই কাটোয়াকে ব্লু সিটি করার উদ্যোগ নিয়েছিল বনদপ্তর। বর্ধমানের বিভাগীয় বনাধিকারিক দেবাশিস শর্মা জানিয়েছিলেন, কাটোয়া শহরের বিভিন্ন অফিস চত্বর, স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে বিশেষ ধরনের গাছ লাগানো হবে। আর এই গাছগুলিতে যে ফুল ফুটবে তা হবে নীল রঙের। ফুলের নাম জ্যাকার্যান্ডা। গাছগুলিতে সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফুল আসতে শুরু করে। ফলে যখন গাছগুলিতে ফুল ধরবে তখন পুরো এলাকায় নীল হয়ে উঠবে।