ধৃত দুই ব্যক্তি। নিজস্ব চিত্র
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: মাস তিনেক আগে চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছিলেন এক মাঝবয়সী ব্যক্তি। বনগাঁ এলাকার এক দালালের বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন ওই অনুপ্রবেশকারী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম সজল কুমার। ধৃতের বাড়ি বাংলাদেশের কাঁকড়াআছারি জেলায়। মাস তিনেক আগে তিনি চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে বনগাঁয় আসেন। অশোক চক্রবর্তী নামে এক দালালের বাড়িতে আত্মীয় পরিচয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকছিলেন তিনি। পুলিশের কাছে সেই খবর গিয়ে পৌঁছয়। সোমবার রাতে জয়পুর ফুলতলা কলোনি এলাকায় হানা দেন তদন্তকারীরা। ওই ব্যক্তিকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। এদেশে থাকার কোনও বৈধ কাগজপত্রই তিনি দেখাতে পারেননি। শেষপর্যন্ত পুলিশের জেরায় তিনি সব কথা স্বীকার করেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ব্যক্তি জাল কাগজপত্র বানিয়ে এদেশের নাগরিক হওয়ার পরিকল্পনায় ছিলেন। কিন্তু কী কারণে এদেশে এসে গা ঢাকা দেওয়া? সেই বিষয়টি পুলিশের কাছে পরিষ্কার হয়নি। অশোক চক্রবর্তী নামে ওই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত অশোক সীমান্ত পারাপারে দালালের কাজে যুক্ত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের আজ মঙ্গলবার সকালে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চাপ বাড়ছে সীমান্ত এলাকায়। রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনাও দেখা গিয়েছে। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল নদিয়ার হাঁসখালি এলাকা থেকেও গ্রেপ্তার হন এক বাংলাদেশি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.