শঙ্করকুমার রায়, রায়গঞ্জ: বিএসএফের নজর এড়িয়ে সীমান্ত লাগোয়া চা-বাগানে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ একাধিকবার বিএসএফকে জানিয়েও সমস্যা সমাধান হয়নি বলে ক্ষোভ স্থানীয়দের৷ দিনের পর দিন চা-বাগান চত্বরে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার সীমান্তবর্তী এলাকারা বাসিন্দারা৷
[কেরল থেকে বাঙালিদের ফেরাতে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করল রেল]
চোপড়া ব্লকের ঘির্নিগাঁও পঞ্চায়তের এলাকার বহু কৃষকের অন্নসংস্থানের প্রধান হাতিয়ার এই চা-বাগান৷ স্থানীয় গোয়ালগজ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে অবস্থিত বাংলাদেশ। গোয়ালগজ সীমান্তের গেট পেরিয়ে চা-চাষের জন্য ওপারে যেত হয় ভারতীয় শ্রমিকদের৷ তারপর আবার বিকেলের ফিরে আসতে হয় তাঁদের৷ দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই সীমান্তের ওপারে ভারতীয় বাগানে চাষাবাদ চলছে৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে কাঁটাতারের ওপারে প্রায় ৩০০ ভারতীয় চা-বাগান রয়েছে। অভিযোগ, বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীদের নজরদারি এড়িয়ে দুষ্কৃতীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে উৎপাদিত চা-পাতা চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে৷ আর তাতেই চূড়ান্ত আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের৷
[মিষ্টি নিয়ে শাশুড়ির গঞ্জনা, অপমানে আত্মঘাতী জামাই]
চা-চাষি সন্তোষ সরেন, হবিবুর রহমানদের অভিযোগ, “সারা বছর কষ্ট করে বাগান পরিচর্চা করছি৷ টাকা খরচ করে চা-চাষ করার পরও চা-পাতা ঘরে তুলতে পারছি না।” চোপড়ার গোয়ালগজ গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস আলির অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই এপারে আমাদের বাগানের চা-পাতা লুট করা হচ্ছে। প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হয়নি।” তবে, এব্যাপারে চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমান বলেন, “বিএসএফকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। আশা করছি, সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।” চোপড়ার বিডিও থেন্ডুপ শেরপা বলেন,“চা-চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করার প্রক্রিয়া চলছে।” পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “এই রকম অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিএসএফ আর বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
[ব্যক্তিগত আক্রমণে সায় ছিল না বাজপেয়ীর, স্মৃতিচারণে কৃষ্ণনগরের চূর্ণীলাল দত্তরা]