দেব গোস্বামী, বোলপুর: দোলের দিন অর্থাৎ ১৪ মার্চ শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না বসন্তোৎসব। তার পরিবর্তে ১১ মার্চ বসন্তোৎসবের আয়োজন করবে বিশ্বভারতী। আর এই উৎসবে শুধুমাত্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষকরাই অংশ নিতে পারবেন। সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ বহিরাগতদের প্রবেশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় দীর্ঘ বৈঠকের পর একথা জানাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবছর দোল উপলক্ষে পর্যটকরা ভিড় করেন বিশ্বভারতীতে। সেই কারণেঅ দোলের দিনের আগেই ক্যাম্পাসের মধ্যে বসন্তোৎসব পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কারণ একটাই, দোলের দিন শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের ভিড়ে কোনওভাবেই যাতে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য নষ্ট না হয়। শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন, বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ, নিরাপত্তা আধিকারিক-সহ কর্মী পরিষদের সদস্যরা ছাড়াও অন্যান্যরা। সবদিক বিবেচনা করেই ওই বৈঠকে দোলের আগেই বসন্তোৎসব উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেষবার ২০১৯ সালে আশ্রম মাঠে হয়েছিল বসন্তোৎসব। ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে যায় উৎসব। ২০২১ সাল থেকে তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বসন্তোৎসবে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। এমনকী, ভিড় এড়াতে দোলপূর্ণিমার দিন বসন্তোৎসব না করার সিদ্ধান্ত নেন। এদিন বৈঠক শেষে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ বলেন, “শান্তিনিকেতন এখন ইউনেসকোর তকমা পাওয়া বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রে। তাই হেরিটেজ রক্ষা করতে বহিরাগত প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ ১১ মার্চ বিশ্বভারতী নিজেদের মধ্যেই এই উৎসব পালন করবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.