Advertisement
Advertisement
Bhuban Badyakar

‘কাঁচা বাদাম’ গানের স্বত্ব পেলেন ভুবন বাদ্যকর, মিলবে মোটা টাকা!

আইনি জট কাটলে প্রায় ১৩ কোটি টাকা পাবেন বীরভূমের লোকশিল্পী।

Bhuban Badyakar gets copyright of song 'Kacha badam' | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 21, 2024 8:57 pm
  • Updated:February 22, 2024 1:19 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অবশেষে আইনি লড়াইয়ে জিতে কাঁচা বাদামের ‘দাম’ পেলেন বীরভূমের (Birbhum) লোকশিল্পী ভুবন বাদ্যকর। নিজের তৈরি গানের স্বত্ব পেলেন দুবরাজপুরের ভুবন বাদ্যকর। ‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম/ আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম…’ এই গান তৈরি করে ২০২১ সালে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ এই গান শুনেছিলেন। সেই সময় মোবাইলে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক খুললেই ফেরিওয়ালার সেই বাদাম বিক্রির গান বেজে উঠত। বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামে তখন কাঁচা বাদামের খোঁজে ভিড় জমত। কিন্তু আইনি জটিলতা এবং ভুলপথে চালিত হওয়ার কারণে নিজের তৈরি গানের স্বত্ব থেকে বঞ্চিত ছিলেন শিল্পী। এবার তা ঘুচল। অদূর ভবিষ্যতে তিনি মোটা অঙ্কের টাকাও পাবেন বলে আশা।

২০২১ সালের ২১ নভেম্বর প্রথম ভুবন বাদ্যকরের (Bhuban Badyakar) এই গানের খবরটি সম্প্রচার করে। নিমেষে তা ভাইরাল হয়ে যায়। মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে সেই গান। সুযোগ বুঝে ইলামবাজারের গোপাল ঘোষ সেসময় ভুবন বাদ্যকরের কাছে তাঁর গানের কপিরাইট লিখিয়ে নেন। ফলে ‘কাঁচা বাদাম’ গান যাঁরাই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে কপিরাইট লাগিয়ে টাকা দাবি করছেন গোপাল ঘোষ। ভুবনের দাবি, সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি টাকা। এমনকী ভুবন বাদ্যকর নিজেও সেই গান করার পর তাঁকেও কপিরাইট দিতে হয়েছে! ফলে বিখ্যাত হয়েও বিপাকে ছিল ভুবন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ডাকলে আবার আসব’, প্রায় সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে বললেন দেব]

এনিয়ে বেশ কয়েকবার দুবরাজপুর (Dubrajpur) থানায় ইলামবাজারের গোপাল ঘোষ ও তাঁর সংস্থা ‘গোধূলিবেলা মিউজিক’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। মূলতঃ ভুবন বাদ্যকর অভিযোগ করেছিলেন, বাঁকুড়ার ‘বেঙ্গল রিমিক্স মিউজিক’-এর সঙ্গে তাঁর প্রথম কপিরাইটের চুক্তি হওয়া সত্বেও তাঁকে আইপিআরএস অর্থাৎ শিল্পী ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নাম করে তাঁর কপিরাইটের স্বত্ব লিখিয়ে নিয়েছিলেন গোপাল ঘোষ। তাই শেষমেশ কেন্দ্রীয় সরকারের কপিরাইট বোর্ডের কাছে ভুবন কপিরাইট ফেরত চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। তার হয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল বাঁকুড়ার (Bankura) মিউজিক সংস্থা। একইসঙ্গে কপিরাইটের নাম করে যে সমস্ত টাকা গোপাল ঘোষ তুলে নিয়েছিল সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্যও অভিযোগ জানানো হয় আদালতে। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জন্মেই রেকর্ড বিরাটপুত্রের! ‘বাবার নজির ভাঙবে অকায়’, আশা পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীদের]

কিন্তু তারই মধ্যে মুম্বইয়ের (Mumbai) কেন্দ্রীয় সরকারের কপিরাইট বোর্ড থেকে ‘কাঁচা বাদাম’ গানের মালিকানার সার্টিফিকেট দেওয়া হল বাঁকুড়ার ওই সংস্থাকে। আর তাতে হাসি ফুটেছে ভুবন বাদ্যকরের মুখে। তবে কপিরাইট ইন্সফিগমেন্টের জন্য আদালত কী রায় দেয়, তার দিকে চেয়ে ‘কাঁচা বাদামে’র মালিক। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি। গোপাল ঘোষ জানান, তাঁরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায়।

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ