Advertisement
Advertisement

বনধের দিন বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূলের কার্যালয়, চাঞ্চল্য বীরভূমের খয়রাশোলে

নেপথ্যে ঝাড়খণ্ডের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা, দাবি অনুব্রত মণ্ডলের।

Bibhum: Blusts at TMC party office in Khoyrashol, no casualty

ছবিতে, ক্ষতিগ্রস্ত তৃণমূল কার্যালয়. ছবি: বাসুদেব ঘোষ।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:September 10, 2018 2:17 pm
  • Updated:September 10, 2018 2:57 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি:  বীরভূমে বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূলের কার্যালয়। সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোলের বড়রা গ্রামে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়েছে কার্যালয়ের ছাদ। হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে অভিযোগ, কার্যালয়ের ভিতরে মজুত করে রাখা বোমা ফেটেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বনধের দিন সকালে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, ঝাড়খণ্ড থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থক ঢুকে পড়েছে বীরভূমে। তাঁরাই খয়রাশোলে বোমা মেরে দলের পার্টি অফিস উড়িয়ে দিয়েছে।

জানা গিয়েছে, সামনেই খয়রাশোলে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে গোটা এলাকা। শোনা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ চরমে। তাই দলীয় কার্যালয়ে বোমা মজুত করে রাখা হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয়টি স্থানীয় তৃণমুল নেতা গোলাম সাবের কাদেরি ওরফে বুড়োর স্মৃতিতে তৈরি হয়েছিল। ২০১২-তে ওই তৃণমূল নেতা খুন হন। সূত্রের খবর, এখন কার্যালয়টি কাদেরির বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর দখলে। কার্যালয়ের বাইরের দেওয়ালে লেখা আছে স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা কালো ওরফে শেখ আসফারের নাম। সেই দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় শাসকদলের অন্দরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দলের কার্যালয়ে বোমা মজুতের কথা স্বীকার করেছেন শাসকদলের কর্মীদের একাংশ। 

Advertisement

[মাছ খাবেন না, মরফিন ভাইরাসের ভুয়ো মেসেজে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক]

বিস্ফোরণের পর দলীয় কার্যালয়ের মালিকানা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। মৃত কাদেরির পরিবারের দাবি, ওই কার্যালয়ের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই। বিস্ফোরণের বিষয়ে কিছুই জানেন না তাঁরা। এই বক্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবে অভিযোগের তির বর্তমান দখলদারদের উপরেই বর্তায়। তবে শেখ আসফারের দাবি, তিনি এখন খয়রাশোলে নেই। বিস্ফোরণের বিষয়েও কিছু জানেন না। তাহলে খয়রাশোল দলের কার্যালয়ের দেওয়া তাঁর নাম কেন?  সদুত্তর মেলেনি।  তবে উলটো কথা বলছেন কাদেরি গোষ্ঠীর লোকজন। তাঁদের দাবি, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করেই কার্যালয়ে বোমা মজুত করা হয়েছিল। কী বলছেন তৃণমূলে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল? তাঁর দাবি, পড়শি রাজ্য ঝাড়থণ্ড থেকে এসে খয়রাশোলে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বোমা মেরেছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা!

Advertisement

[কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি, রাজ্যে সচল জনজীবন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ