ধীমান রায়, কাটোয়া: ‘মার খেয়ে কেউ নেতৃত্বকে ফোন করবেন না, মার দিয়ে ফোন করবেন। তাহলে আমরা আপনাদের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে যাব।’ শনিবার কাটোয়ায় দলীয় কর্মীদের এই নির্দেশ দিয়ে গেলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধায়৷ অভিনেতা জয়ের মন্তব্য, ‘‘আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত সাহ বলে দিয়েছেন, এরপর যদি কেউ আপনাদের মারে, তাহলে জানাবেন না৷ মার খেয়ে কেউ ফোন করবেন না৷ মার দিয়ে উচ্চ নেতৃত্বকে ফোন করবেন।”
[হঠাৎ ‘নিখোঁজ’ অন্ডাল থানার আইসি, শুরু বিভাগীয় তদন্ত]
শনিবার বিকেলে কাটোয়ার রবীন্দ্রভবনে বিজেপির শাখা সংগঠন ভারতীয় জনতা ও বিসি মোর্চার পক্ষ থেকে সামাজিক ন্যায় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল৷ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে জয় বলেন, ‘‘আপনারা দলের জন্য সততার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করুন৷ তার ফল পাবেন৷’’ নিজের সম্পর্কে উদাহরণ টেনে বলেন, ‘‘আমি সামান্য রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলাম। সততার সঙ্গে পরিশ্রমের জন্য দল আমাকে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক কমিটির সদস্য করেছে। আমাদের দল যোগ্যতাকে মর্যাদা দিতে জানে।’’
[১০০ দিনের কাজে ফের দেশের শীর্ষে বাংলা, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিন বুদ্ধিজীবীদেরও এক হাত নেন জয়৷ ডোমজুড়ে ব্যাংককর্মী পার্থ চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে জয় বলেন, ‘‘সামান্য একজন ব্যাংককর্মীকে যেভাবে টাকার জন্য নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা দেখে স্তম্ভিত হতে হয়। অথচ এনিয়ে বুদ্ধিজীবীদের প্রতিক্রিয়া নেই৷ কিন্তু, মোদির বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবীরা যত সোচ্চার৷” জয় আরও বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা শাসকদলের হাতে মার খেলে তার হিসাব ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়া হবে। এটাই উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ।’’