সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর মামলা দায়ের হয়ে চলেছে বিজেপি নেতা যোগেশ ভারশনের বিরুদ্ধে৷ ইতিমধ্যেই তদন্তের ভার নিয়েছে সিআইডি৷ জানা গিয়েছে, বুধবার রাতেই আলিগড় রওনা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ দল৷ সেখানে গিয়ে বিজেপির যুবা মোর্চার নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
[দিনে রেস্তরাঁ চালিয়ে, রাতে ডিজে হয়ে কামাল জাপানি বৃদ্ধার]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা কেউ কেটে এনে দিতে পারলে তিনি তাঁকে ১১ লক্ষ টাকা দেবেন৷ এমনই ফতোয়া জারি করেছিলেন বিজেপির তরুণ নেতা৷ বুধবার সকালে তাঁর এই ফতোয়া প্রকাশ্যে আসার পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে নানা মহলে৷ তৃণমূল নেতা, কর্মী, সাংসদরা তো বটেই নিন্দায় সরব হন অন্যান্য দলের নেতারাও৷ রাজ্যসভায় সপা সাংসদ তথা অভিনেত্রী জয়া বচ্চন বলেন, একদিকে গরু বাঁচানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে অন্যদিকে মহিলাদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। কেউ এরকম কথা বলার সাহস পায় কী করে? যুবনেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তোলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “যে এ ধরনের মন্তব্য করেছে সে রাজনীতির কুলাঙ্গার। রাজনীতিতে এসব চলে না। দিল্লির কাছে তিনি প্রশ্ন করেন, এরপরও ওই নেতা ঘুরে বেড়াচ্ছে কী করে? কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না?
[অনুরাগীর পোস্টে হেসেই খুন প্রধানমন্ত্রী মোদি, দিলেন বাহবা!]
নিজের দলের যুবনেতার বক্তব্যকে দল সমর্থন করে না বলেই জানান বিজেপির বর্ষীয়াণ নেতারা। রাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক বিজয় কৈলাশবর্গীয় জানান, “এই মন্তব্য দল সমর্থন করে না। রাজ্যে মমতার তোষণমূলক রাজনীতির কারণে চাপা ক্রোধ আছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু তা বলে কোনওরকম হিংসাকে দল সমর্থন করে না।”
বুধবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জায়গায় মামলা দায়ের হওয়ার খবর মিলেছেন। কলকাতা, বোলপুর এবং আলিগড়ে। আলিগড়ে মামলা দায়ের করেছেন জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রামফুল উপাধ্যায়। স্থানীয় সিভিল লাইন পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিআইডির পাশাপাশি পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই যোগেশকে বিজেপির যুবমোর্চা থেকে ৩ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, এমন মন্তব্য একেবারের সাপোর্ট করে না দল।
Yogesh Varshney has been suspended from @BJYM 3 years back & we do not support such radical statements.
— BJYM (@BJYM) April 12, 2017