Advertisement
Advertisement
বিপ্লব

বিপ্লবের বিরুদ্ধে বিপ্লব, তৃণমূল নেতাকে দলে নেওয়ায় বিজেপি ছাড়ছেন শ্রমিক নেতা

এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি শীর্ষ নেতৃত্ব।

BJP leader quits party for TMC rebels induction in S Dinajpur

রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র এবার বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে লড়ছেন লোকসভার লড়াইয়ে। নিজস্ব চিত্র।

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 1, 2019 7:09 pm
  • Updated:July 1, 2019 7:09 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: বিপ্লব মিত্রকে দলে নেওয়ার প্রতিবাদে, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগ জমা দিলেন বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক বিপ্লব মণ্ডল। তবে এনিয়ে এখনও বিজেপির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি বলেই জানা গিয়েছে। বিপ্লব মিত্রর উপর ক্ষোভের কারণে বছর দেড়েক আগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতির পদ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বিপ্লব মণ্ডল।

জানা গিয়েছে, এক সময় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ছিলেন বিপ্লব মণ্ডল। তৎকালীন জেলা তৃণমূল সভাপতি ছিলেন বিপ্লব মিত্র। প্রথমে বিপ্লব মিত্রর স্নেহভাজন ছিলেন বিপ্লব মণ্ডল। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক কারণে দুরত্ব বাড়ে দুই বিপ্লবের। স্বাধীনভাবে করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখান তৃণমূলের শাখা অর্থাৎ শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি বিপ্লব মণ্ডল। বিপ্লব মিত্রর বিরুদ্ধে গত ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে সরাসরি অভিযোগ তুলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে বেরিয়ে আসেন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি বিপ্লব মণ্ডল। এরপর এই শ্রমিক নেতা কিছুদিন কংগ্রেস ও পরবর্তী ২১ জুলাই ২০১৮ সালে কৈলাস বিজয়বর্গীর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি বিজেপির ট্রেড ইউনিয়য়ের রাজ্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে কাজ করছিলেন। কিন্তু আচমকা ছন্দপতন ঘটে। কেন না যে নেতার উপর বিক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বেরিয়ে আসেন, সেই নেতা বিপ্লব মিত্রকেও নেওয়া হয়েছে বিজেপিতে। এতেই বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে বিপ্লব মণ্ডল অব্যাহতি এবং দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement

শ্রমিক নেতা বিপ্লব মণ্ডল বলেন, তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রধান কারণ ছিল তৎকালীন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর একনায়কতন্ত্র। শ্রমিক নেতা হলেও তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতেন না। সেই বিপ্লব মিত্রকে এবার বিজেপিতে নেওয়া হল। অপছন্দের তালিকায় থাকা ওই লোকটির কারণেই তিনি বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ব্যাপারে তিনি লিখিতভাবে বিজেপির রাজ্য ও জেলা সভাপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে সেই চিঠির জবাব আসেনি এখনও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু সরকার ফোন ধরেননি। অন্যদিকে এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ