Advertisement
Advertisement

Breaking News

চোপড়া কাণ্ড

‘রাজ্যে গণতন্ত্র নেই’, চোপড়া কাণ্ডে জামিনে মুক্তির পর ক্ষোভপ্রকাশ রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বুধবার ধরনা মঞ্চ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতিকে।

BJP leader Raju Banerjee gets bail on Chopra girl death issue

ফাইল ছবি।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 23, 2020 5:03 pm
  • Updated:July 23, 2020 5:31 pm

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: চোপড়ায় কিশোরীকে ‘ধর্ষণ করে খুনে’র ঘটনার প্রতিবাদে ধরনা মঞ্চে শামিল হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় (Raju Banerjee)। ধরনা মঞ্চ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই ভেবেছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীরা। কিন্তু না, পরিবর্তে সারারাত থানাতেই আটকে রাখা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় বিজেপি নেতাকে। শর্তসাপেক্ষে ১০ হাজার বন্ডে জামিনে মুক্তি পান তিনি। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক মহুয়া রায় বসু এই নির্দেশ দেন।

আদালতের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন,”১০ হাজার টাকা বন্ডে নির্দিষ্ট শর্তে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিনে মুক্তি দেন বিচারক। তবে তদন্তের স্বার্থে যখন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক ডাকবেন, তখনই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে থানায়।” আদালত সূত্রে খবর, ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা রুজু করে পুলিশ। প্রথমত, গত ১৯ জুলাই বেআইনিভাবে ইসলামপুরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ।পাশাপাশি, অবৈধভাবে জমায়েতের অভিযোগেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ব্যাপক রদবদল তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে, রাজ্য কমিটিতে এলেন ছত্রধর মাহাতো]

এ প্রসঙ্গে দিল্লি থেকে ফোনে বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, “বৃহস্পতিবার ভোর প্রায় তিনটে নাগাদ রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে রায়গঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ভ্যানে করে ইসলামপুরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি ধৃত জেলার সাধারণ সম্পাদক বাসুদের সরকার, জেলা সম্পাদক গৌতম বিশ্বাস, প্রদীপ সরকার ও কমল দেবনাথকে রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির মধ্যে থানা থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। এটা অমানবিক।”

Advertisement

বৃহস্পতিবার দু’টো নাগাদ ইসলামপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের এজলাসে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলা হয়। দীর্ঘক্ষণ সওয়াল জবাবের শেষে বিচারকের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট শর্তে জামিনে মুক্তি পান তিন। জামিনের পর বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। তাই তৃণমূল অবাধে সভা করতে পারে। আর বিধায়ক ও কিশোরীর ‘খুনি’দের শাস্তির দাবি জানালে বিজেপির কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়।”  

[আরও পড়ুন: রেলের আয় বাড়াতে টিকিট পরীক্ষা ছেড়ে বাজারে ঘুরছেন টিটিই, আসরে বুকিং ক্লার্করাও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ