বিক্রম রায়, কোচবিহার: লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পরেও কোচবিহারের শীতলকুচিতে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব অব্যাহত। বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আহত বিজেপি কর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ।
[সংস্কারের পর ফের স্বমহিমায় ঐতিহ্যের ভবন, উপাসনায় ব্রাহ্মরা]
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে দলীয় কার্যালয় থেকে বৈঠক সেরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন বিজেপি নেতা বরেনচন্দ্র বর্মন৷ অভিযোগ, শীতলকুচি ব্লকের ঠগেরডাঙা এলাকায় পৌঁছতেই ওই বিজেপি নেতার পথ আটকায় কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। অভিযোগ, সেখানে রাস্তার উপরেই ওই বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে অভিযুক্তরা। এরপর দুষ্কৃতীরা বরেনবাবুকে নিয়ে যান স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে। সেখানে ফের তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রথমে শীতলকুচি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই ব্যক্তিকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা জানিয়ে শীতলকুচি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের তরফে। যদিও এখনও পলাতক অভিযুক্তরা। পাশাপাশি, এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
[ডাইনি অপবাদে ঘাটালে গণপিটুনিতে খুন মহিলা, অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬]
এ বিষয়ে শীতলকুচি ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবেদ আলি মিঞা বলেন, “ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তৃণমূল কর্মীরা এমন কিছু করলে আমি জানতাম। ইচ্ছাকৃত দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।” কোচবিহারের বিজেপির জেলা সভাপতি মালতি রাভা বলেন, “লোকসভায় আমাদের প্রার্থী দেওয়া হয়নি এখনও। তার আগেই শাসকদল আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। কোচবিহারে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের কর্মীরা। মানুষ এর জবাব দেবে।”
ছবি : দেবাশিস বিশ্বাস