ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: দু’দিনের লড়াই শেষ। কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হল নানুরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর। মৃতের নাম স্বরূপ গড়াই। মৃত্যুর আগে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আলো চৌধুরি ও তুফান দাস নামে দুই তৃণমূল কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এরপর রবিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনার মূল চক্রী ওই দুই অভিযুক্তকে। আগেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে সোমবার সকাল থেকেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে নানুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। ওইদিন রাতে বীরভূমের নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন স্বরূপ গড়াই নামে ওই বিজেপি কর্মী। আরও বেশ কয়েকজনও ছিল তাঁর সঙ্গে। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই চায়ের দোকানে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেখানে বোমাবাজিও করা হয়। এরপরই স্বরূপকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে ওই বিজেপি কর্মীর বুকে। খবর পেয়ে নানুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা স্বরূপকে উদ্ধার করে বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
রবিবার রাতে সেই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় স্বরূপবাবুর। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি কর্মী। সেই কারণেই তৃণমূল কর্মী আলৌ চৌধুরি ও তুফান দাস তাঁকে খুনের চেষ্টা করে। এরপরই রবিবার রাতে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এফআইআর-এর নাম ছিল এই দু’জনের। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃতের ভাই অরূপ গড়াই। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বোমা-বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছিল গোটা বীরভূম। নির্বাচনের পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ছবিটা কার্যত একই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.