স্টাফ রিপোর্টার: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিতে এলে ফল ভুগতে হবে সরকারকে। প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাম নবমী নিয়ে উত্তেজনার পারদ ক্রমশই চড়ছে। রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে ফের তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জানিয়ে দিলেন, ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে পুলিশের অনুমতি লাগে না। পরম্পরা মেনে অস্ত্র নিয়েই মিছিল হবে বলে আগেই জানিয়ে ছিলেন তিনি। সরকার বাধা দিতে এলে তার ফলও সরকারকে ভোগ করতে হবে। শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বুধবার দিলীপ ঘোষ বলেন, রাম নবমী নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূলই। বিজেপি ধর্মকে ধর্ম হিসাবেই দেখে।
[রোগী মৃত্যুতে নার্সিংহোমে ভাঙচুর, গাফিলতির অভিযোগে মারধর চিকিৎসককে]
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়েছে। ইতিমধ্যেই প্রচারের প্রস্তুতি জোর কদমে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য দপ্তরে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। সেখানেই প্রচারের কৌশল ঠিক করছেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা। মুকুল রায়ের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে যাবে বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে শাসকদলের সঙ্গে পাল্লা দিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারেন বিজেপি নেতারা। বিভিন্ন জেলায় প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করতে পারে। বিধানসভা-লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেই সাধারণত হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। তবে দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, প্রচারে হেলিকপ্টার ব্যবহারের বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
রাম নবমীর মিছিলে অস্ত্র বহনকে কেন্দ্র করে গত বছর তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে অস্ত্র নিয়ে মিছিলের অনুমতি দিতে চায়নি রাজ্য প্রশাসন। তা নিয়ে জল আইন-আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অস্ত্র ও মাইক বাজানো নিয়ে রাজ্য সরকারের যা নিষেধাজ্ঞা, তা ১০০ শতাংশ মেনেই মিছিল করা উচিত। প্রত্যেক রামভক্ত যেন আইন মেনে চলেন। সংঘ মনে করে, অস্ত্র নিয়ে মিছিলে যদি সম্প্রীতি নষ্ট হয়, তবে কারওই কোনও মিছিলে অস্ত্র নিয়ে বেরনো উচিত নয়। সম্মেলনে সংঘের দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক জিষ্ণু বসু কয়েকদিন আগে এমনটাই বলে ছিলেন।
এদিকে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিন্দু সংহতিও। সংগঠনের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে দেশ থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করতে হবে। নচেৎ বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে হিন্দু সংহতি।