নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অনুব্রতর পাঁচনের পরিবর্তে এবার ‘লাদনা’ (মোটা লাঠি) দেওয়ার নির্দেশ বিজেপি নেতৃত্বের৷ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, ‘‘আগে তৃণমূলের নেতারা দিতেন বচন, এখন দিচ্ছেন পাঁচন৷’’ বীরভূমের রবীন্দ্রনাথ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে অনুব্রত পাঁচনের জবাব দিতে ‘লাদনা’র দাওয়াই গেরুয়া শিবিরের৷ বিজেপির প্রদেশ সম্পাদক শ্যামাপদ মণ্ডল বললেন, ‘‘পাঁচন দিয়ে তৃণমূল অচল জমিতে কলাই চাষ করবে৷ আপনারা লাদনা দিয়ে তাতে ডাল বের করে ছাড়ুন৷’’ ময়ূরেশ্বরের মল্লারপুর শিববাড়ির মাঠে হাই কোর্টের নির্দেশে এদিন সভা করে বিজেপি৷ জনসভায় আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দুধকুমার মণ্ডল, অর্জুন সাহা ও রামকৃষ্ণ রায়রা৷
[OMG! গৃহস্থের পাতা ফাঁদে বন্দি চিতা! কী হল তারপর?]
গত এক সপ্তাহ আগেই বর্তমান জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বিরুদ্ধে বিজয়া সম্মেলনীতে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন প্রাক্তন দুই সভাপতি দুধকুমার ও অর্জুন। আজ তাঁদেরই একজোটে এক মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে সরিয়ে রাজ্যে বিজেপির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ডাক দিতে শোনা যায়। এদিন জোটবদ্ধ বিজেপির জনসমাবেশ সকাল থেকেই ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে৷ সভার শুরুতেই বিজেপি নেতৃত্বের তরফে একাধিক বিষয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করা হয়৷
[তিন বছরের ব্যবধানে ফের রাজ্যে সেরা বাম আমলে রুগণ হওয়া সমবায়]
এদিনের এই জনসভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে ডি-লিট না দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়া যায় না। বীরভূমে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব আছে। সেখানে অনুব্রতকে ডি-লিট না দিলে উপাচার্য শান্তি পাবে না।’’ নতুন পুলিশ সুপার শ্যাম সিং কাজে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁকে হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। ‘‘দাড়িভিট কাণ্ডে নিহত দুই ছাত্রের আত্মা বীরভূমেও ঘুরে বেড়াচ্ছে। দাড়িভিট কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হবেই। এ রাজ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই সিবিআই তদন্ত হচ্ছে। কারও ইচ্ছা অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। যেমন তদন্ত হচ্ছে হবে। তাতে যদি আমি দোষী হই তাহলে শাস্তি মাথা পেতে নেব৷’’ রবিবার বিজেপির জনসভায় এভাবেই স্বীকারোক্তি দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.