প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাকপুর: নৈহাটি উপনির্বাচনের দিন ভাটপাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকের চায়ের দোকানে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। সেই মামলার এক সাক্ষীর পচাগলা দেহ মিলল রাস্তার নর্দমায়। জগদ্দল থানা এলাকার এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। তাঁকে কি খুন করা হল, উঠছে প্রশ্ন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ।
তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউ। এই মামলার সাক্ষীদের মধ্যে একজন ছিলেন তার আত্মীয় দিলীপ সাউ। শনিবার দুপুরে নিকাশি নালা থেকে তাঁরই পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন তিনেক ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না দিলীপের। এরমধ্যে এদিন দুপুরে জগদ্দল থানার অন্তর্গত পালঘাট রোড সংলগ্ন একটি নিকাশি নালা থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপরেই খোঁজ করলে দেখা যায় কালভার্টের নিচে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধারের পর শনাক্তকরণ করে। বোঝা যায় পচাগলা দেহটি দিলীপ সাউয়ের। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। পালঘাট রোড সংলগ্ন ঘোষপাড়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় ও পরিচিতরা। তাতে যোগ দেয় গেরুয়া শিবির। ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়।
বিজেপি নেতা প্রিয়াঙ্কু পাণ্ডে বলেন, “অশোক সাউয়ের খুনের ঘটনায় তার ভাই প্রদীপ সাউ আদালতে এনআইএ তদন্তের জন্য মামলা করেছিলেন। খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহে এনআইএ মামলা পেয়ে যেতে পারে। এরইমধ্যে দিলীপ সাউয়ের মৃতদেহ কালভার্টের নিচের নর্দমা থেকে উদ্ধার হয়েছে। তিনদিন আগে থেকে সে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। থানায় নিঁখোজ ডায়েরিও হয়েছিল। যদি সত্যিই সে নর্দমায় পড়েই গিয়েই থাকে, তাহলে কালভার্টের নিচে দেহ গেল কী করে? এটাই আমার প্রশ্ন, এটাই আমাদের সন্দেহ।” জবাবে ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি ঘোষ জানান, “ময়নাতদন্তে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা ঠিক না। আমিও চাই সত্যি উদঘাটন হোক। পুলিশি তদন্তেই সেটা বেরিয়ে আসবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.