জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: জামাইবাবুর লালসার শিকার নাবালিকা শ্যালিকা। ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খেতে দেওয়া হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। সে অচৈতন্য হয়ে পড়লে গুণধর জামাইবাবু তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকায়। বনগাঁ থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শুভ দেবনাথ। বাড়ি পেট্রাপোল থানার ছয়ঘড়িয়া এলাকায়। ওই নাবালিকাদের বাড়ি বনগাঁ থানা এলাকায়। বছর খানেক আগে শুভর সঙ্গে নির্যাতিতার দিদির বিয়ে হয়েছিল। অতি সম্প্রতি ওই নাবালিকার মা কাজের সূত্রে পুণে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল ওই নাবালিকা। দিদি ও জামাইবাবু বনগাঁর ওই বাড়িতে যান। স্ত্রী ও শ্যালিকার সামনেই মদ্যপান করেন শুভ। স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়।
কিছু সময় পরে বেহুশ হয়ে পড়ে নাবালিকা। এদিকে শুভর স্ত্রী অসুস্থবোধ করায় বাথরুমে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে ওই ব্যক্তি বাইরে থেকে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দেন। তারপরই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ঘটনার কথা জানাজানি হলে দিদির সংসার ভেঙে যাবে। মুখ বন্ধ করে রাখার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়। সেসময় মুখ বন্ধ করে রেখেছিল সে। তার মা বাড়ি ফিরে আসতেই গোটা ঘটনার কথা জানায় ওই নাবালিকা। আজ বুধবার সকালেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই গুণধরকে গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতকে বনগাঁ আদালতে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.