Advertisement
Advertisement
Shahjahan Sheikh

রাজসাক্ষী হতে চান শাহজাহানের ভাই! কোন সূত্রে সন্দেশখালির অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ?

সূত্রের খবর, সিবিআইকে নানা তথ্যের জোগান দিচ্ছেন শেখ শাহজাহানের ভাই।

Brother to turn on Shahjahan Sheikh
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 27, 2024 10:18 am
  • Updated:April 27, 2024 11:15 am

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সন্দেশখালি কাণ্ডের কিনারায় এখন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরই মূল ভরসা সিবিআইয়ের? আর তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ীই নাকি শুক্রবার সন্দেশখালিতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে বিকেলের দিকে সেখানে যায় NSG। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা তল্লাশিতে মেলে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ। সূত্রের খবর, সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজসাক্ষী হতে চান আলমগীর। আর সে কারণেই নাকি সিবিআইকে নানা তথ্য দিচ্ছেন তিনি।

শেখ শাহজাহান ছিলেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’। স্থানীয়দের দাবি, তাঁর নির্দেশ মতোই চলত গোটা এলাকা। স্রেফ ক্ষমতাবলে জমি, ভেড়ি দখল করতেন শাহজাহান। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। বর্তমানে সেই শেখ শাহজাহান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। তার ফলে ফাঁকা শাহজাহানের ‘সাম্রাজ্য’। সূত্রের খবর, শাহজাহানের সঙ্গে নাকি ক্ষমতা দখলের লড়াই চলত ভাই আলমগীরেরও। কিন্তু আলমগীরও বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে। তাই ফাঁকা সাম্রাজ্যে ফের ফিরে গিয়ে এলাকা দখল করতে চান। সূত্রের খবর, সে কারণেই সন্দেশখালি কাণ্ডে রাজসাক্ষী হতে চান শাহজাহানের ভাই। তাই সিবিআইকে সমস্ত তথ্যের জোগান দিচ্ছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পরিচিতর ডাকে সাড়া, পার্ক স্ট্রিটের নামী হোটেলে গিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ব্যবসায়ীর]

এমনকী শাহজাহানের ভাইয়ের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্দেশখালির আগারহাটির মল্লিকপাড়ায় হানা দেয় সিবিআই। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালেব মোল্লার বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিবিআই এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলা হয় মেঝে। আর সেখান থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বিকেলের দিকে ওই এলাকায় যায় NSG। মেঠো পথ দিয়ে ভেড়ি ঘেরা রহস্যময় বাড়িতে পৌঁছয় এনএসজির রিমোটচালিত রোবট। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশিতে ওই বাড়ি থেকে একটি রহস্যময় ব্যাগ বের করে আনে রোবট।

Advertisement

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ৩টি বিদেশি বন্দুক, ১টি দেশি বন্দুক, ১টি কোল্ট অফিসিয়াল পুলিশ রিভলবার, ১টি করে দেশি ও বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। বলে রাখা ভালো, কোল্ট অফিসিয়াল রিভলবার একমাত্র পুলিশই ব্যবহার করে। ব্যক্তিগতভাবে কীভাবে তা আবু তালেবের বাড়িতে এল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। তবে কি পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ঘুরপথে শেখ শাহজাহানের হাত হয়ে আবু তালেবের বাড়িতে পৌঁছয়, উঠছে প্রশ্ন। এছাড়া ১২০ রাউন্ড ৯ এমএম বুলেট, পয়েন্ট ৪৫ ক্যালিবারের ৫০টি কার্তুজ, ৯ এমএম ক্যালিবারের কার্তুজ ১২০টি, পয়েন্ট ৩৮০ কার্তুজ ৫০টি এবং পয়েন্ট ৩২ কার্তুজ ৮টি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। বিপাকে ফেলতে শেখ শাহজাহান ‘ঘনিষ্ঠে’র আত্মীয়ের বাড়িতে ওই অস্ত্রশস্ত্র আলমগীরই রেখেছিলেন কি না, সে রহস্যও অবশ্য দানা বেঁধেছে। তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

[আরও পড়ুন: ‘পার্স ভুলে গিয়েছি, ৬০০ টাকা পাঠান’, ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের কাছে আর্জি ‘ধোনি’র!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ