সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ফের নিজেদের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত বিএসএফ। এবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে ফেনসিডিল উদ্ধার অভিযানে গিয়ে মহিলাদের হামলার মুখে পড়লেন জওয়ানরা। গোপন সূত্রে বিএসএফের কাছে খবর ছিল, কৃষ্ণগঞ্জের মথুরাপুরের রিভার পাম্পে নিষিদ্ধ ওষুধ মজুত করে রাখা হয়েছে। অভিযোগ, তা উদ্ধার করতে গেলে মহিলারা ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়িতেও। মোট ১০ জনের নামে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিএসএফ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
দিনকয়েক আগেই কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া এলাকা থেকে বাঙ্কারের খোঁজ পেয়েছিল বিএসএফ। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল উদ্ধার হয়। বাঙ্কারে থরে থরে সাজানো ছিল নিষিদ্ধ ওষুধ। বাংলাদেশে পাচারের জন্য তা মজুত করা হচ্ছিল বলে বিএসএফ জানতে পারে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গত শনিবার বিএসএফের কাছে গোপন সূত্রে খবর মেলে, মথুরাপুর এলাকায় রিভার পাম্পের ভিতরে প্রচুর ফেনসিডিল মজুত রয়েছে পাচারের জন্য। খবর পেয়ে সোমবার পরিকল্পনা করে বিএসএফ জওয়ানরা অভিযান চালান সেখানে। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েন এলাকার মহিলারা। বিএসএফের অভিযোগ, সামনের সারিতে মহিলারা থাকলেও পিছনের দিকে ছিল এলাকার দুষ্কৃতীরা। প্রথমেই বিএসএফের গাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার খবর পেয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বড়সড় একটি দল সেখানে পৌঁছয়। বিএসএফের পক্ষ থেকে মথুরাপুর এলাকায় মোট ১০ জনের নামে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তদন্তে নেমেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। তবে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে খবর। মনে করা হচ্ছে, এই ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নদিয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জে সক্রিয় পাচারচক্রের বিষয়টি স্পষ্ট হল। সেই চক্র ভাঙতে মরিয়া পুলিশ। তার মাঝে অবৈধভাবে মজুত করা ফেনসিডিল উদ্ধার করতে গিয়ে বিএসএফের এভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় আরও স্পষ্ট পাচারকারী ও দুষ্কৃতী যোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.