সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বজবজে তৃণমূলের কাউন্সিলরকে হত্যার চেষ্টার ঘটনার ২ মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল মহেশতলা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম কামাল খান ও মহম্মদ কায়েশ। সোমবার কাউন্সিলরকে হত্যার চেষ্টার ৫ দিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার ২ মূল অভিযুক্ত। তাদের থেকে গাঁজাও মিলেছে বলে সূত্রের খবর। আজ তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে। অন্যদিকে, এখনও হাসপাতালে ভরতি গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার।
[মাধ্যমিক থেকে শিক্ষা, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার নিয়ে কড়া সংসদ]
নদিয়ার বিধায়ক খুনের ঘটনার পরেই গত সোমবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ হন বজবজ পুরসভার কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার। এদিন রাতে বজবজের চিত্রাগঞ্জে দলীয় কার্যালয়ে বসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিঠুন টিকাদার। অভিযোগ, সেই সময় হঠাৎই তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে দু’জন দুষ্কৃতী। আচমকাই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। মিঠুন টিকাদারের বুকে ও পেটে গুলি লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর বোমাবাজি করতে করতে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। দ্রুত তাঁকে কলকাতার একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় গুলিবিদ্ধ অবস্থায়। এখনও হাসপাতালে ভরতি গুলিবিদ্ধ ওই কাউন্সিলর। ঘটনার পরেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে প্রকাশ্যে এসেছিল মহম্মদ ক্যাশ ও কামাল খানের নাম। শুক্রবার রাতে জিঞ্জিরাবাজার এলাকা থেকে সেই দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ। তাদের থেকে মিলেছে গাঁজা। গাঁজা রাখার অভিযোগে আজ ওই ২ অভিযুক্তকে আলিপুর কোর্টে পাঠায় মহেশতলা থানার পুলিশ। অন্যদিকে, কাউন্সিলর খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ বজবজ থানা।
[হোয়াটসঅ্যাপে চুরি ও খুনের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ১]
কাউন্সিলর খুনের চেষ্টার পরের দিন সকাল থেকেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল স্থানীয়রা। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু করেছিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তদন্ত শুরু করে ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১ অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছিল ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।