Advertisement
Advertisement

Breaking News

কালো টাকা সাদা করতে মহিষ কেনার হিড়িক, নজর আয়কর দফতরের

পাঁচশো-হাজারের নোট নিয়ে চলতি সমস্যা একটু থিতোলে বীরভূমের তথাকথিত অনেক কেউকেটাই বিপদে পড়তে চলেছেন বলে সূত্রের খবর৷

Buffaloes are sold in high rates to convert black money into white
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 25, 2016 12:24 pm
  • Updated:November 25, 2016 12:24 pm

নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর: কথায় আছে চোরের চৌষট্টি বুদ্ধি৷ সেই বুদ্ধি আরও খুলে গিয়েছে মোদি সরকারের নোট বদলের ঘোষণায়৷ ব্যবসায়ীরা কারেন্ট অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করছেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট ভাড়ার কথাও শোনা যাচ্ছে৷ কিন্তু লাইভস্টকে পাঁচশো-হাজার ঢেলে টাকা সরানোর এক নতুন ছবি উঠে এল বীরভূমে৷

ব্যবসাদার থেকে পুলিশ অফিসার, সরকারি কর্মী থেকে রাজনৈতিক দাদা-দিদিরা, সবাই নাকি পাঁচশো-হাজারের নোটে যে যতগুলি পারছেন গরু-মহিষ কিনে রাখছেন৷ তারপর কয়েকদিন ঘাস-পাতা খাইয়ে হাটে বিক্রি করে দিতে পারলেই নতুন নোট হাতে আসবে৷ আয়কর দফতরের গোপন রিপোর্ট বলছে, গরু-মহিষে বিনিয়োগের পরিমাণটা লাখে নয়, কোটিতে৷ শুধু তাই নয়, বাতিল টাকা বদলাতে, এবং কালো টাকা-সাদাটাকার হিসাবে এই ৫-৭ কোটি টাকার বিনিয়োগের উপর কড়া নজরও রাখছে আয়কর দফতর৷ এমনকী রাজনৈতিক দলের কোন নেতারা, সরকারি কোন আধিকারিকরা কোনপথে টাকা কোথায় পাঠাচ্ছেন তারও সব রিপোর্ট জমা পড়ছে৷ আর সেই সূত্র ধরেই পাঁচশো-হাজারের নোট নিয়ে চলতি সমস্যা একটু থিতোলে বীরভূমের তথাকথিত অনেক কেউকেটাই বিপদে পড়তে চলেছেন বলে সূত্রের খবর৷

Advertisement

বীরভূমে পশু হাট নামকরা৷ আর সেই হাটের রাস্তাতেই নিজেদের কালো টাকা সাদা করার রাস্তায় নেমেছেন অনেকে৷ আপাতত একটু বেশি দাম দিয়েই গরু-মহিষ কিনে নিচ্ছেন তাঁরা৷ ৩০ ডিসেম্বরের পর তা বিক্রি করে টাকা সাদা করার পরিকল্পনা করে রেখেছেন কালো টাকার কারবারিরা৷ বীরভূমের সবচেয়ে বড় পশুহাট ইলামবাজার ও সাঁইথিয়ায়৷ সূত্রের খবর, এই দু’টি হাটে গরু-মহিষের লেনদেন হঠাৎই বেড়ে গিয়েছে৷ এখান থেকে গরু-মহিষের একটা বড় অংশ মুর্শিদাবাদ হয়ে পাচার হয়ে যায় বাংলাদেশেও৷ এই কেনাবেচার পথেই বদলে যাচ্ছে টাকা৷ দু’সপ্তাহে ইলামবাজার হাট থেকেই তিন কোটি টাকারও বেশি মহিষ কেনা হয়েছে বলে খবর৷ সাঁইথিয়া হাট থেকেও গত সপ্তাহে দেড় কোটি টাকার গরু ও মহিষ কেনা হয়েছে৷

Advertisement

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়কর দফতরের এক অফিসার জানান, “আমরা বিভিন্ন বেআইনি কারবারের উপর নজর রাখছি৷ হঠাৎ করে মহিষ কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে৷ সব তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷ পরিস্থিতি একটু শান্ত হলেই হাতে তথ্য নিয়ে হানা দেওয়া হবে কেউকেটাদের ডেরায়৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ